
সংগৃহীত
রমজান মুসলিমদের জন্য রহমতের মাস। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় এই মাসে রোজা রাখা হয়। অনেক সময় আমরা নিয়ত করতে ভুলে যাই সেহরির সময়। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে আমাদের রোজা হবে কিনা?
সেহরির পর নিয়ত না করলে রোজা হবে কি না — এটি নির্ভর করে নিয়তের অবস্থার ওপর।
রমজানের রোজার জন্য মনের ইচ্ছাই নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়। মুখে নিয়ত পড়া বাধ্যতামূলক নয়। যদি রাতে মনে থাকে যে আগামীকাল রোজা রাখবেন, সেহরির সময় বা তার আগে মনে মনে রোজার ইচ্ছা থাকলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন—
"নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।" (বুখারি, মুসলিম)
তবে শর্ত হলো:
নিয়ত অবশ্যই সেহরির সময়ের মধ্যে বা সুবহে সাদিকের আগে করতে হবে। যদি ফজরের পর নিয়ত করেন, তাহলে সেই দিনের রোজা সহিহ হবে না।
বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। তবে এটি হাদিস ও ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। (তবে জেনে রাখা উচিত যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ।)
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদান, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব, তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী
নফল রোজার নিয়ত সকাল থেকে যেকোনো সময় করা যায় যদি কিছু খাওয়া-দাওয়া বা রোজা ভঙ্গের কাজ না করে থাকেন।
(মুসলিম, হাদিস: 1154)
রোজার বাংলা নিয়ত
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা আপনার সন্তুষ্টির জন্য ফরজ করা হয়েছে। অতএব, আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।