ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানে যেসব সময়ে মেলে দোয়া কবুলের স্বর্ণালী সুযোগ!

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ৪ মার্চ ২০২৫

রমজানে যেসব সময়ে মেলে দোয়া কবুলের স্বর্ণালী সুযোগ!

সংগৃহীত



রমজান মাস মুসলিমদের জন্য বিশেষ রহমতের মাস। এই মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া বেশি কবুল করেন। কুরআন ও হাদিসে রমজানে দোয়া কবুলের কিছু বিশেষ সময় উল্লেখ করা হয়েছে তা আলচনা করা হল-

ইফতারের সময়:

ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

হাদিসে উল্লেখ আছে,“তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না — রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া এবং মজলুমের (অত্যাচারিত ব্যক্তির) দোয়া।”
(তিরমিজি, হাদিস: ২৫২৬)

তাহাজ্জুদের সময় (রাতের শেষ তৃতীয় অংশ):
রমজান মাসে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন।
হাদিসে উল্লেখ আছে, “আমাদের রব প্রতি রাতের শেষ তৃতীয় ভাগে পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা প্রদান করব?’”
(বুখারি, মুসলিম)

সেহরির সময়:
সেহরির সময়ও বিশেষ দোয়া কবুলের মুহূর্ত।

হাদিসে উল্লেখ আছে, “সেহরি খাওয়ার মাঝে বরকত রয়েছে।”
(বুখারি, মুসলিম)

জুমার দিন:
রমজানের প্রতি জুমার দিনেও দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় রয়েছে।

হাদিসে উল্লেখ আছে,“জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন।”
(বুখারি, মুসলিম)

লাইলাতুল কদর (শবে কদর):
লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। এ রাতে দোয়া কবুল হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

হাদিসে উল্লেখ আছে,“তোমরা লাইলাতুল কদরে এই দোয়া পড়ো: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।’”
(তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

দোয়া কবুলের ছোট্ট আমল:
বেশি বেশি ইস্তেগফার করা ,আল্লাহর প্রশংসা করা, দরুদ শরিফ পাঠ করা, অন্তর থেকে বিনম্রভাবে দোয়া করা।

রমজান মাসে এসব সময়কে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করেন। তাই এই পবিত্র মাসে বেশি বেশি ইবাদত ও দোয়া করার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

 

আফিয়া
 

×