
সংগৃহীত
রমজান পবিত্র আত্মশুদ্ধির মাস, যেখানে মুসলমানদের জন্য আত্মসংযম, ইবাদত ও তাকওয়ার চর্চা করা হয়। এই সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কেও কিছু বিষয়ে সংযম ও নিয়ম মেনে চলতে হয়।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সংযম ও নিয়মগুলো হল ঃ
১. দিবাগত মিলন:
ফজরের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (রোজার সময়) স্বামী-স্ত্রীর জন্য শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্পূর্ণ হারাম।
আল্লাহ বলেন:“তোমাদের জন্য রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের কাছে গমন হালাল করা হয়েছে।”
(সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৭)
২. অশ্লীল কথা ও আচরণ:
রোজা অবস্থায় অশ্লীল কথাবার্তা, ঝগড়া বা কটু বাক্য বিনিময় করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
হাদিস:“যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা এবং মিথ্যা কাজে লিপ্ত হওয়া বন্ধ করে না, আল্লাহ তার পানাহার বর্জন করার কোনো প্রয়োজন রাখেন না।”
(বুখারি, হাদিস: ১৯০৩)
৩. অনর্থক রাগ ও ঝগড়া: রমজান সংযমের মাস, তাই স্বামী-স্ত্রীকে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। অহেতুক রাগ বা ঝগড়া করা রোজার পূর্ণতা নষ্ট করে।
৪. ভালোবাসামূলক শারীরিক স্পর্শ: হালকা আদর-সোহাগ করা জায়েজ, তবে এমনভাবে করা উচিত নয় যাতে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
৫. গোপন অশ্লীল আলোচনা: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ আলাপচারিতা রোজার সময়ে এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি শারীরিক সম্পর্কের দিকে ধাবিত করতে পারে।
৬. সন্দেহমূলক পরিস্থিতি: স্বামী-স্ত্রী এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে রোজা ভাঙার কারণ হতে পারে।
রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ইবাদতে উৎসাহিত করবে, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে, ক্ষমাশীল মনোভাব রাখবে, একসঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া করবে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ চর্চার মধ্য দিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও বরকতময় করে তোলার চেষ্টা করা উচিত। স্বামী-স্ত্রীকে জন্য শারীরিক রোজা ভঙ্গের সম্পূর্ণ হারাম কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।