
ছবি:সংগৃহীত
বাংলাদেশের ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দাঁড়ি এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর গোফ মুবারক, যা কাঁচের বাক্সে রাখা হয়েছে।
এই মসজিদের একটি কক্ষে আরও কিছু মূল্যবান নিদর্শন রাখা আছে, যার মধ্যে হযরত শাহ আলী বাহদাদী (রাঃ)-এর মাথার পাগড়ী, চন্দন কাঠের তৈরি খাবার বাসন এবং মাছের দাঁতের তৈরি তসবিহও রয়েছে। এই সমস্ত নিদর্শন হযরত শাহ আলী বাহদাদী (রাঃ) বাগদাদ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।
মসজিদটির নাম 'ঐতিহ্যবাহী গেরদা দরগাহবাড়ি জামে মসজিদ'। জনশ্রুতি রয়েছে যে, শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) এখানে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর, সেই মসজিদের ভগ্নাবশেষের ওপর হিজরি ১০১৩ সনে একটি নতুন মসজিদ নির্মিত হয়। তবে কালের পরিক্রমায় সেই মসজিদটিও ধ্বংস হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়, এবং স্থানটি ধীরে ধীরে জঙ্গলে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
তবে, পুরোনো মসজিদের অখণ্ড পাথরের তৈরি পিলারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। নতুন মসজিদের দুটি প্রবেশপথে, এই অখণ্ড পাথরের চারটি পিলারের কিছু অংশ এখনও সজ্জিত হয়ে শোভা পাচ্ছে।
গেরদা জামে মসজিদ প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ, যা ফরিদপুরের গেরদা গ্রামে অবস্থিত। কালের পরিক্রমায় মসজিদটি ধ্বংসপ্রায় হলে, সেখানেই নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন নতুন মসজিদ। নবনির্মিত মসজিদটির নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো মসজিদের সুলতানি আমলের পাথর, গ্রানাইট পাথরের ফলক ও পিলার। এছাড়া, মসজিদটিতে রয়েছে মূল্যবান বেলেপাথর এবং শিলালিপি, যা তার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরো বাড়িয়েছে। মসজিদটিতে কিছু ইসলামি নিদর্শনও সংরক্ষিত রয়েছে, যা এর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
আঁখি