
ছবি: সংগৃহীত
রমজান হলো আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের মাস। এই মাসে প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব অনেক গুণ বৃদ্ধি করা হয়। বিশেষ করে, রাতের বেলা আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা এক বিশেষ ফজিলতের কাজ। এই সালাত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, গুনাহ মোচন এবং জান্নাতের পথে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।
তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও কুরআনের নির্দেশনা
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন—
"আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করো, এটা অতিরিক্ত ইবাদত হিসেবে; আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে সম্মানিত অবস্থানে পৌঁছে দেবেন।" (সূরা আল-ইসরা: ৭৯)
এ থেকে বোঝা যায়, তাহাজ্জুদ কেবল একটি নফল ইবাদত নয়, বরং এটি বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য দানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।
রমজানে তাহাজ্জুদের ফজিলত
রমজান মাসে তাহাজ্জুদের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ—
১. লাইলাতুল কদরের সন্ধান: রমজানের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম (সূরা আল-কদর: ৩)। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে এই বরকতময় রাতের ফজিলত পাওয়া সহজ হয়।
২. গুনাহ মোচন: হাদিসে এসেছে, "রাত্রিকালে যখন একজন বান্দা একাকী দাঁড়িয়ে আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ তা'আলা বলেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছে যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব? কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?" (বুখারি, মুসলিম)।
৩. জান্নাতের নিশ্চয়তা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা তাহাজ্জুদের অভ্যাস করো, কেননা এটি ছিল নেককারদের পথ, এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম, পাপ মোচনকারী ও গুনাহের প্রতিবন্ধক।" (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
তাহাজ্জুদ আদায়ের নিয়ম
* রাতের শেষ তৃতীয়াংশে (সেহরির আগ মুহূর্তে) আদায় করা সর্বোত্তম।
* ন্যূনতম ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮, ১০ বা ১২ রাকাত পড়া যায়।
* মনোযোগ সহকারে ধীরস্থিরভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা এবং দোয়া করা উত্তম।
আসিফ