ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় যেসব সময়ে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ২ মার্চ ২০২৫

রোজায় যেসব সময়ে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়

ছবিঃ সংগৃহীত।

রোজার মধ্যে এমন কিছু সময় আছে, যখন দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। এগুলি ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় বা মুহূর্ত হিসেবে বর্ণিত। এই সময়গুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হলো:

১. ইফতার করার সময়:
রোজা ভঙ্গের সময়, অর্থাৎ ইফতার করার সময় দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: "রোজাদারের দোয়া ইফতার করার সময় কবুল হয়।" (ইবনু মাজাহ)। তাই রোজা ভঙ্গের সময় দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ সময়ে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২. রোজার শেষের দশকের তারাবির সময়:
রমজান মাসের শেষ দশকে আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা করার গুরুত্ব রয়েছে। এই সময়ে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত বেশি হয়ে থাকে। হাদিস: "রমজান মাসের শেষ দশকটি রহমত ও ক্ষমার মাস। এই সময়ে বিশেষভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।" (বুখারি)

৩. লাইলাতুল কদর (শব-ই-কদর):
রমজান মাসের একটি রাত, যা লাইলাতুল কদর হিসেবে পরিচিত, তা আল্লাহর কাছ থেকে অমর ক্ষমা, মাগফিরাত এবং দোয়া কবুল করার একটি বিশেষ রাত। এটি বিশেষ করে রমজানের ১০টি অপরাহ্ণের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি রাত, সাধারণত ২৭তম রাত বলে মনে করা হয়, যদিও কিছু আলেমদের মতে তা ২১, ২৩, বা ২৫ তম রাতেও হতে পারে।

৪. দুপুরের পর ও আছরের মাঝামাঝি সময়:
ইসলামে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, দু'টি সময়ে দোয়া গ্রহণযোগ্যতা বেশি, একটি হলো সূর্যোদয়ের পর এবং দ্বিতীয়টি হলো সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে (যার মধ্যে আছরের সময়ও অন্তর্ভুক্ত)। হাদিস: "জুমার দিনে এমন কিছু সময় আছে, যখন আল্লাহ তাআলা যেকোনো মুসলিমের দোয়া কবুল করেন।" (বুখারি)

৫. রোজাদারের তাওবা ও মাফ চাওয়ার সময়:
রোজার মাধ্যমে মুসলমানরা তাওবা ও মাফ চাওয়ার একটি সুযোগ পান, বিশেষ করে দোয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময়ে।

৬. সাহরীর সময়:
রোজার পূর্বে সাহরী খাওয়ার সময় দোয়া করা উচিত। সাহরী হল রোজার শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত, এবং এই সময়ে আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করেন। হাদিস: "তোমরা সাহরী খাও, কারণ সাহরী খাওয়া একটি বরকতপূর্ণ কাজ।" (বুখারি)

ফারুক

×