ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

যেসব পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫১, ২ মার্চ ২০২৫

যেসব পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক স্কলাররা জানিয়েছেন, রোজা থাকাবস্থায় বেশ কয়েকটি পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না।

রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। এ ইবাদত পালনের বিধান দিয়েছেন আল্লাহ। আবার যারা এ ইবাদত পালনে অক্ষম তাদের জন্যও রয়েছে ছাড়। ফরজ রোজা পালন করা অবস্থায় রোগীর ওষুধপত্র সেবন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকের মনে এ সময় সংশয় দেখা দেয়। অসুস্থ অবস্থায় রোজা রেখে ওষুধ গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।


ইসলামিক স্কলাররা জানিয়েছেন, রোজা থাকাবস্থায় বেশ কয়েকটি পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না। রোজার এমন কিছু আধুনিক মাসয়ালা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করব।  

ইনজেকশন নেওয়া
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া অন্য যে কোনো কারণে ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। তা মাংসে নেওয়া হোক বা রগে। কারণ ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়।

(ইবনে আবিদিন, খ. ২, পৃ. ৩৯৫; (খ) ইবনু নুজাইম, খ. ২, পৃ. ২৭৮; (গ) আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল, খ. ৩, পৃ. ২১৪)

ইনসুলিন গ্রহণ করা
ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না।

(ইবনে আবিদিন, খ. ৩, পৃ. ৩৬৭; (খ) ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, পৃ. ৩২৭)

ডায়াবেটিস পরীক্ষা
ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোঁটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

কেউ যদি ইনজেকশন বা ইনসুলিন নেওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে ভেবে অন্য কোনো খাবার খেয়ে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে যেহেতু ভুল জেনে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে খেয়েছে, তাই কাফফারা ওয়াজিব হবে না, শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৩৬, ১৯৪০; আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৭৩; কিতাবুল আসল : ২/১৬৮; মাজমাউল আনহুর : ১/৩৬০)

রোজার বিধান নাজিলের আয়াতে আল্লাহ তাআলা অক্ষম বা সমস্যার সম্মুখীন মানুষের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ বিধানে রয়েছে সহজের ঘোষণা। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘রমজান মাসই হল সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

 

সূত্র :https://www.khoborsangjog.com/lifestyle/68402

ফয়সাল

×