
ছবিঃ সংগৃহীত
শায়খ আহমাদুল্লাহ তার এক মাহফিলে গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক যুবক রোজা রাখে না সেই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেক যুবক আছেন, যারা গ্যাস্ট্রিকের অযুহাতে রোজা রাখেন না। সামান্য একটি রোজা রাখতে যে যুবক পারে না, সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে কী হিসেবে। মাত্র ১২-১৪ ঘণ্টা যে না খেয়ে থাকার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না, সে কিসের মুসলমান দাবি করে নিজেকে। বাসা-বাড়িতে বাচ্চাদেরকে কৈশোর বয়স থেকে রোজা রাখতে শিখাবেন।
আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলছি যারা শুধু ভোগ শিখেছে ত্যাগ শিখে নাই। বাচ্চারা যা চাচ্ছে বাবা-মা সাথে সাথে দিয়ে দিচ্ছেন, তাদেরকে ত্যাগ করা শিখাচ্ছেন না। মনে রাখবেন, ভোগ করতে কোন যোগ্যতার দরকার হয় না, ত্যাগ করতে যোগ্যতার দরকার হয়। আপনার বাচ্চা যদি রোজা রাখা শিখে, সেই রোজা রাখার মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্যের ফিলিংস তার মধ্যে আসবে।
শরীয়া মোতাবেক ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙা হারাম, তবে জরুরি ওজর থাকলে এই নিয়ম শিথিলযোগ্য। সকল প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ।
রিফাত