ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানে ৭টি করণীয় ও ৭টি বর্জনীয় কাজ:মিজানুর রহমান আজহারী

প্রকাশিত: ০০:২৬, ২ মার্চ ২০২৫

রমজানে ৭টি করণীয় ও ৭টি বর্জনীয় কাজ:মিজানুর রহমান আজহারী

প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, রমজানে দান করব, ইফতার শেয়ার করব। কেউ যদি অন্যকে ইফতার করায়, তবে সেই ব্যক্তির রোজার সওয়াবও ইফতার করানো ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হয়। তাই মাহে রমজানকে যথাযথভাবে পালন করতে হলে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় অনুসরণ করা উচিত। তিনি এই প্রসঙ্গে রমজানে সাতটি করণীয় ও সাতটি বর্জনীয় কাজ ব্যাখ্যা করেছেন।

রমজানে ৭টি করণীয় কাজ
১. কোরআনময় রমাদান: এই মাসে কোরআনের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করুন। ধীরস্থিরভাবে তেলাওয়াত করুন, দ্রুত পড়ার বদলে তারতিলের সাথে পাঠ করুন।
২. তারাবির নামাজ ধীরস্থিরভাবে পড়ুন: তারাবি সালাতের অর্থই বিশ্রামের নামাজ। অস্থিরতা ও তাড়াহুড়ো না করে মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করুন।
৩. তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করুন: বছরের অন্য সময় হয়তো রাতের শেষ ভাগে উঠতে কষ্ট হয়, কিন্তু রমজানে সাহরির জন্য উঠতেই হয়। তাই তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করুন।
৪. দানশীল হোন: রমজান দানের মাস। মুক্তহস্তে দান করুন এবং দানের সওয়াব অর্জন করুন।
৫. লাইলাতুল কদর তালাশ করুন: রমজানের সবচেয়ে দামি সময় হলো কদরের রাত। এই রাত যেন মিস না হয়, সেজন্য শেষ দশ রাত বিশেষভাবে ইবাদতে কাটান।
৬. ইতেকাফ করুন: যারা সম্ভব, তারা রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফে বসুন, অন্তত কয়েকটি দিন মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।
৭. নারী ও শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল হোন: শিশুদের রোজার জন্য প্রস্তুত করুন, তাদের উৎসাহ দিন। নারীদের প্রতি সদয় থাকুন-সারাদিন ইফতার তৈরির চাপে তাদের ইবাদত যেন ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

 

রমজানে ৭টি বর্জনীয় কাজ
১. ইফতারে বিলম্ব করবেন না: ইফতার সময়মতো করুন, কেননা ইহুদিরা দেরি করে ইফতার করত, যা ইসলাম সমর্থন করে না।
২. রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন: অশ্লীলতা, তর্কবিতর্ক, ঝগড়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. মিথ্যা বলবেন না: রমজান মাসে মিথ্যা বলা বড় পাপ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৪. অপচয় করবেন না: খাবার, পানি, বিদ্যুৎ-যে কোনো কিছুতেই অপচয় এড়িয়ে চলুন।
৫. লোক দেখানো ইবাদত করবেন না: ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য করুন, লোক দেখানোর জন্য নয়।
৬. মজুতদারি করবেন না: রমজান আসলেই অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এটি ইসলাম সমর্থন করে না। পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবেন না।
৭. কর্মচারী ও অধীনস্থদের প্রতি সদয় হোন: কাজের লোক, ফ্যাক্টরির কর্মচারী,যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। যদি আপনি তাদের প্রতি দয়া করেন, তবে আল্লাহও আপনার প্রতি দয়া করবেন।

রমজান কেবল উপবাসের মাস নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়ার মাস। তাই এসব করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় মেনে চললে আমাদের রোজা আরও অর্থবহ ও বরকতময় হবে।

সূত্র:https://tinyurl.com/4e6n8j3z

আফরোজা

×