
ছবি: সংগৃহীত
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম, যা একজন মুসলিমের বিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে তোলে। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত একটি ফরজ ইবাদত:
“রমজান হল সেই মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ... সুতরাং, যে এই মাসটি পাবে, সে যেন রোজা রাখে...” (আল-কুরআন ২:১৮৫)
রমজানের গুরুত্ব ও রোজার ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যা এর বরকত ও পুরস্কারকে তুলে ধরে।
রমজানের বরকত
- রহমতের দরজা খোলা হয়: “যখন রমজান শুরু হয়, তখন জান্নাতের দরজা খোলা হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।” (সহিহ বুখারি ১৯০০)
- রোজা শুরুর সময়: “তোমরা যখন চাঁদ দেখতে পাও, তখন রোজা রাখা শুরু করো, আর যখন পুনরায় চাঁদ দেখো, তখন রোজা শেষ করো।” (সহিহ বুখারি ১৯০১)
রোজার বিধান
- সেহরির ফজিলত: “সেহরি খাও, কেননা এতে বরকত রয়েছে।” (সহিহ বুখারি ১৯২৪)
- ভালো চরিত্র বজায় রাখা: “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও খারাপ কাজ ত্যাগ করে না, তার রোজা রাখা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।” (সহিহ বুখারি ১৯০৪)
- আত্মসংযম ও প্রতিদান: “রোজা ঢালস্বরূপ... রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের চেয়েও সুগন্ধিময়।” (সহিহ বুখারি ১৮৯৫)
- ইফতার দ্রুত করা: “মানুষ সঠিক পথে থাকবে, যতক্ষণ তারা দ্রুত ইফতার করবে।” (সহিহ বুখারি ১৯৫৮)
রমজানে ইবাদতের গুরুত্ব
- দান-সদকার বৃদ্ধি: নবী (সাঃ) রমজানে সবচেয়ে বেশি দানশীল হতেন। (সহিহ বুখারি ১৯০৩)
- লাইলাতুল কদরের ফজিলত: “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি ১৯০২)
- গুনাহ মাফের সুযোগ: “যে ব্যক্তি ঈমান ও আশার সাথে রমজানে রাতে নামাজ আদায় করবে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি ২০০৯)
আবীর