
ছবি: সংগৃহীত।
ইসলামে বদ নজর বা "অলক্ষ্য চোখের প্রভাব" সম্পর্কে ধারণা রয়েছে, যা সাধারণত ঈর্ষা বা অন্যের ভালো দেখে মন খারাপ হয়ে তার উপর খারাপ প্রভাব পড়ার পরিস্থিতিকে বোঝায়। ইসলামী দর্শনে বদ নজর বা "আল-ইনফিক্ক" বিশ্বাস করা হয় যে, মানুষের চোখের মাধ্যমে তার কুদৃষ্টি বা ঈর্ষা অন্যদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বদ নজর লেগেছে এমন কিছু লক্ষণ সাধারণত নিচের মত হতে পারে:
- অস্বাভাবিক দুর্ভোগ: কেউ হঠাৎ কোনো সমস্যায় বা ক্ষতি সম্মুখীন হলে, যেমন: শারীরিক অসুস্থতা, জীবনে অস্বাভাবিক বাধা আসা, ব্যবসায় ক্ষতি, বা অন্য কোনো দুর্যোগ।
- শারীরিক বা মানসিক অস্বস্তি: মাথা ব্যথা, অস্থিরতা, অবসাদ, অল্প সময়ে প্রচুর ক্লান্তি অনুভব করা, মনের অস্থিরতা ইত্যাদি।
- অদ্ভুত কোনো আচরণ: হঠাৎ কোনো স্থানে বা পরিস্থিতিতে যে ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, যা পূর্বে ঘটেনি। যেমন, খুব ভালো সময়েও কিছু অসাধারণ খারাপ ঘটনা ঘটে যায়।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব: ব্যক্তির জীবনে হঠাৎ করে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া বা আগের মতো সুখী বা সফল না অনুভব করা।
এভাবে চিন্তা করলে, বদ নজর হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট লক্ষণও হতে পারে, তবে এটি একটা বিশ্বাস যা ইসলামের মৌলিক তত্ত্বে নাই, কিন্তু মানুষের মাঝে এর ধারণা খুবই প্রচলিত।
এই বিষয়ে সতর্কতা হিসেবে ইসলামও কিছু দোয়া বা আমল করার পরামর্শ দেয়, যেমন:
- মুশাহাদাহ (দূর থেকে দুর্বল নজর কমানো): কিছু বিশেষ দোয়া পড়া যেমন "মাশা আল্লাহ" বা "বিসমিল্লাহ" (যখন কেউ ভাল কিছু দেখলে)।
- আয়াতুল কুরসি ও সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়া।
বদ নজর থেকে রক্ষা পেতে কিছু নিয়মিত দোয়া ও আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে পারেন, যেমন: নিয়মিত সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পড়া এবং আল্লাহর সাহায্য চাওয়া।
নুসরাত