
সংগৃহীত
মাহে রমজান হচ্ছে সংযমের মাস , যেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনের নির্দিষ্ট সময় আহার গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এই মাসে খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি মনের সংযম, ধৈর্য ও আত্মসংযমের চর্চা করা উচিৎ । কেননা , রমজান শুধু ক্ষুধা ও তৃষ্ণা সহ্য করার সময় নয় , বরং এটি আত্মশুদ্ধি , ইবাদত ও মানবিক গুণাবলির বিকাশের মাস।
হাদিসে বলা হয়েছে, যারা রোজা রাখে, তারা শুধু খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকে না, বরং রোজা তাদের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা খুলে দেয় এবং গুনাহ মাফের সুযোগ করে দেয়।
রোজার অন্যতম প্রধান ফজিলত হলো, এটি পাপ মোচনের মাধ্যম। এমনকি বিগত জীবনের গুনাহও মাফ হয়ে যেতে পারে যদি কেউ ঈমান ও ইখলাসের সাথে রোজা রাখে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।" (সহিহ বুখারি: ৩৮, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)
পবিত্র কোরআনের সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৭। এতে আল্লাহ তায়ালা রোজার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আয়াতটিতে বলা হয়েছে, সুবহে সাদিক (ভোরের আলো) প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া করা যাবে এবং এরপর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা বাধ্যতামূলক।
এই আয়াতের মাধ্যমে রোজার মৌলিক নিয়মাবলি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা মুসলমানদের জন্য সংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শিক্ষা দেয়।
রমজান মাস উপবাস পালন করা হয় , যাতে ধনীরা অভাবী মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারেন। শুধু পানাহার থেকে বিরত থেকে নয় , বরং আত্মিকভাবে সংযম , ধৈর্য ও নৈতিক উন্নতির মাধ্যমে রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে নিজেদের জীবনে ধারণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য ।