
অফুরন্ত নেয়ামতে সমৃদ্ধ মাস পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাসে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ইবাদতের প্রতিদানস্বরূপ বহু নেয়ামত দানের পাশাপাশি গুনাহ মাফের সুযোগ রেখেছেন। রমজানে অধিক সওয়াব লাভের অসংখ্য ইবাদতের মধ্যে একটি ইবাদত হলো রমজানের উমরাহ পালন।
কোনো সামর্থ্যবান মুসলিম যদি এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন, তবে তা তার জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর হবে। কারণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিসে এসেছে যে, উমরাহ পালন করলে হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নারীকে বললেন, "যখন রমজান আসে, তখন তুমি উমরাহ করো, কেননা রমজানে উমরাহ করা আমার সঙ্গে হজ করার সমতুল্য।"
উমরাহ পালনের অসংখ্য ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, "এক উমরার পর আরেক উমরা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত।"
হজ ও উমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। তারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তারা তার কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "তোমরা হজ ও উমরাহ আদায় করো, কেননা হজ ও উমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন ও গুনাহ দূর করে দেয়, ঠিক সেভাবে যেভাবে হাপড়ের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।"
তবে একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, রমজানে উমরাহ পালনে হজের সওয়াব পেলেও, যাদের উপর হজ ফরজ হয়েছে, তাদের অবশ্যই ফরজ হজ আদায় করতে হবে।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=PF4dhF9C3Rw
রাজু