ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজান মাসে যে ৭টি কাজ করা উচিত নয়

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রমজান মাসে যে ৭টি কাজ করা উচিত নয়

প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত

রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এ সময় মুসলমানরা রোজা রেখে সংযম ও ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তবে অনেকেই কিছু অভ্যাসের কারণে রোজার প্রকৃত ফজিলত থেকে বঞ্চিত হন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি। আসুন জেনে নিই, রমজানে যে ৭টি কাজ করা উচিত নয়—

১. মিথ্যা বলা ও গিবত (পরনিন্দা) করা

রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং জিভ, মন ও কাজের সংযমেরও পরীক্ষা। রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করেন না, আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই যে সে শুধু খাওয়া ও পানীয় ত্যাগ করবে।" (বুখারি)

২. রাগ ও অভদ্র আচরণ করা

রমজানে ধৈর্য ও নম্রতা বজায় রাখা জরুরি। কারও সঙ্গে তর্ক বা ঝগড়া এড়িয়ে চলাই উত্তম। রাসুল (সা.) বলেছেন, "যদি কেউ তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে আসে, তাহলে বলো: আমি রোজাদার।" (বুখারি ও মুসলিম)

৩. অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত ঘুমানো ও অলস সময় কাটানো

রমজানে অনেকেই সারাদিন ঘুমিয়ে বা অলস সময় কাটিয়ে দেন, যা রোজার মূল উদ্দেশ্য নষ্ট করে। বরং এ সময় কুরআন তিলাওয়াত, ইবাদত ও দান-সদকা করা উচিত।

৪. অপচয় ও অতিরিক্ত খাওয়া

ইফতার ও সেহরিতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রোজার সংযমের মূলভাবের পরিপন্থী। রাসুল (সা.) বলেছেন, "মানুষ পেটের চেয়ে খারাপ কোনো পাত্র ভর্তি করে না।" (তিরমিজি)

৫. অশ্লীল ও অনৈতিক কাজ করা

রমজানে টিভি, মোবাইল বা অন্য যে কোনো মাধ্যমে অশ্লীলতা দেখা, বাজে কথা বলা বা অনৈতিক কাজ করা রোজার পবিত্রতা নষ্ট করে।

৬. দেরিতে নামাজ পড়া বা নামাজ ফাঁকি দেওয়া

অনেকেই রোজার ক্লান্তির কারণে নামাজ ফেলে রাখেন বা দেরি করে পড়েন। অথচ নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং রমজানে এটি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করা উচিত।

৭. দান-সদকা ও সৎকর্মে পিছিয়ে থাকা

রমজান দান-সদকার মাস, কিন্তু অনেকেই এ সময়ে গরিব-দুঃখীদের প্রতি খেয়াল রাখেন না। অথচ রাসুল (সা.) বলেছেন, "রমজানে দান করা অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সওয়াবের কাজ।" (তিরমিজি)

রমজান আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সংযমের মাস। তাই এই সময়ে উল্লিখিত কাজগুলো থেকে বিরত থেকে ইবাদত, নেক আমল ও সৎকর্মে মনোনিবেশ করা উচিত। আল্লা

জাফরান

×