
ছবি সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে শাবান মাস। রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতে রজব মাস থেকেই দোয়া করা শুরু করতেন এবং শাবান মাসে তা আরও বাড়িয়ে দিতেন।
এই মাসে তিনি বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে সাহাবাদের অবহিত করতেন এবং রমজানের চাঁদ দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতেন।
রাসূল (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, যারা শাবানের শুরু থেকে রোজা রাখেননি, তারা শেষের দিকে নফল রোজা রাখতে যেন বিরত থাকেন।
হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন—"তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান আগমন করেছে। আল্লাহতায়ালা তার রোজাকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর জন্য এমন রাত যা হাজার রাত থেকে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।" (সুনানে নাসায়ি)
রমজানের চাঁদ দেখা ও দোয়া
প্রতিটি আরবি মাসের মতো রমজানের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রেও রাসূল (সা.) সতর্কতা অবলম্বন করতেন। শাবান মাসের শেষে তিনি চাঁদ দেখে রমজান শুরুর প্রস্তুতি নিতেন।
নতুন চাঁদ দেখলে তিনি দোয়াটি পড়তেন:
اَللّهُّمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ رَبِّيْ وِرَبُّكَ الله
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! এ চাঁদকে ঈমান ও নিরাপত্তা, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আমার ও তোমার প্রভু আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৬)
শাবান মাসে রমজানের গুরুত্ব ও আলোচনা
রাসূল (সা.) শাবান মাসে সাহাবাদের কাছে রমজানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতেন। তিনি জানাতেন, রমজানে কীভাবে রোজা পালন করতে হবে, কীভাবে ইবাদত বাড়াতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কী কী পুরস্কার রয়েছে।
শাবান মাসকে রাসূল (সা.) রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে দেখতেন এবং তার উম্মতদেরও এই মাসে রোজা, দোয়া এবং ইবাদত বৃদ্ধির উপদেশ দিতেন।
আশিক