ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

পৃথিবীর অন্যতম সুদর্শন যুবক ছিলেন হযরত ইউসুফ (আ:)

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৭:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পৃথিবীর অন্যতম সুদর্শন যুবক ছিলেন হযরত ইউসুফ (আ:)

ছবি: সংগৃহীত

মিশরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে হযরত ইউসুফ (আ.) এর নাম। যার সৌন্দর্যে আটকে যেত মিশরের সুন্দরীদের চোখ। তৎকালীন সময়ে মিশরের রাজার স্ত্রীর মিথ্যা অপবাদে ৭ বছর বন্দি ছিলেন নবী ইউসুফ। 

বর্তমানে সেই কারাগারকে বলা হয় দোয়া কবুলের স্থান। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫ মিটার গভীরে অবস্থিত সিজেন ইউসুফে হযরত জিব্রাইল (আ.) অহি নিয়ে এসেছিলেন হযরত ইউসুফ (আ.) এর কাছে।

এই কারাগারটিকে বলা হয় দোয়া কবুলের স্থান। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর অন্যতম সুদর্শন যুবক ছিলন হযরত ইউসুফ (আ.)।

তৎকালীন রাজার স্ত্রী জুলেখার অন্যায় আবদার করলে নবী ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় হযরত ইউসুফ (আ.) মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং অপবিত্র ভোগ-বিলাসের পরিবর্তে কারাবাসকে উত্তম বলে ফরিয়দ জানান। মহান আল্লাহ হযরত ইউসুফ (আ.) প্রতি সদয় হোন এবং তাকে কারাগারে রাখার ব্যবস্থা করেন। 

হযরত ঈসা, মুসা, হারুন, শোয়াইব এবং ইউসুফ (আ.) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত পূণ্যভূমি মিশরের রাজধানী কায়রো থেক ৩০ কিমি দক্ষিণে বদরসিন এলাকায় ফারাও রাজা আখনাতুনের রাজপ্রাসাদ। কাসর আজিজ মাশৌর নামে এই রাজপ্রাসাদে বড় হয়েছিলেন হযরত ইউসুফ (আ.)। এখানেই অহি নাজিল হয়েছিল হযরত ইউসুফ (আ.) এর উপর। সে সময় একমাত্র মুসলিম ফেরাউন চতুর্থ আমেনহোটেপ তথা আখনাতুনের প্রাসাদ ছিল।

আল-কুরআনে বর্নিত মোটাতাজা গরু ও শুকনো গমের ঐতিহাসিক স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন এই রাজপ্রাসাদে। হযরত ইউসুফ (আ.) তৎকালীন মিশরের দুর্ভিক্ষ চলাকালে তৈরি করেছিলেন খাদ্য গুদাম। যেগুলো খাজিনা-এ ইউসুফ নামে পরিচিত। যে খাদ্য গুদামগুলো এখনও আছে। প্রতিবছর হাজারো পর্যটকরা ভীড় জমান এই কারাগার দেখতে। এখনো গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এই কারাগার। কারাগারটি পৃথিবীর সুন্দরতম মানুষের নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে মিশরের বদরসিন এলাকায়।

 

ভিডিও লিংক: https://www.facebook.com/watch/?v=334081363124648&rdid=jMtMJZFHnHkZKT1Y

শিহাব

×