
ছবি:সংগৃহীত
ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখবেন যেভাবে
রমজান মাসে খাদ্য গ্রহণের সময় পরিবর্তিত হয়, এবং ইফতার ও সাহ্রির মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি খাবার খাওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে গ্লুকোজের ঘাটতিও হতে পারে। এছাড়া, ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধ ও ইনসুলিনের সময় পরিবর্তন হয়, যা রোজার শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রমজানের দুই-তিন মাস আগে থেকেই নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে রোজা রাখতে পারেন।
ইসলাম ধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা নিয়ম মেনে রোজা রাখার সুযোগ দেয়, এমনকি ডায়াবেটিস রোগীও রোজা রাখতে পারেন। তবে তাদের জন্য প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি এবং ডাক্তারের পরামর্শ। গবেষকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন এবং বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখলে বিভিন্ন জটিলতা যেমন হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হাইপারগ্লাইসিমিয়া এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
রোজা শুরুর এক থেকে তিন মাস আগে ডায়াবেটিস ও তার জটিলতা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাইপারগ্লাইসেমিয়া ও হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বিষয়ে সম্যক ধারণা প্রয়োজন। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা (SMBG) করতে হবে, বিশেষত সেহরির পর দুই ঘণ্টা ও ইফতারের আগে দু'ঘণ্টা পর।
পানির পাশাপাশি, মিষ্টি নয় এমন পানীয় ও খেজুর খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ইফতারে গ্লিমিপ্রাইড/গ্লিক্লাজাইড, এনালগ বেসাল বা বেসাল-বোলাস দিয়ে ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আঁখি