
ইসলামে পারিবারিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাবা-মায়ের সেবা, ভাইবোনের দেখাশোনা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া যেমন ব্যক্তির দায়িত্ব, তেমনই স্ত্রীর জন্য নিরাপদ ও স্বতন্ত্র আবাসন নিশ্চিত করাও স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব।
স্ত্রীর জন্য আলাদা আবাসন
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, স্ত্রী বিয়ের পর স্বামীর ঘরেই থাকবে, বাবার বাড়িতে নয়। তাই বিয়ের আগে থেকেই স্বামীর উচিত স্ত্রীর থাকার জন্য আলাদা ঘর বা বাসার ব্যবস্থা করা। যদি স্বামী আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়, তবে স্ত্রীর জন্য পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। হজরত ওমর (রা.)-এর সময় এক ব্যক্তি বিয়ের শর্ত হিসেবে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে রাখার কথা বললে, তিনি তা নাকচ করে দেন এবং বলেন, স্ত্রীকে স্বামীর ঘরেই থাকতে হবে।
যৌথ পরিবারে থাকা ও স্ত্রীর অধিকার
যদি যৌথ পরিবারে বসবাস স্ত্রীর জন্য কষ্টকর হয়, পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয় বা স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়, তাহলে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীকে যৌথ পরিবারে থাকতে বাধ্য করা অন্যায় হবে। ফকিহগণ বলেন, স্ত্রীর স্বতন্ত্র থাকার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণের জন্য তার মতামতই যথেষ্ট, অন্য কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই।
স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা
ইসলামী ফিকহ মতে, স্বামী যদি বড় ঘরের একটি কক্ষে স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের ব্যবস্থা করতে পারে এবং সেখানে পর্দা রক্ষা করা সম্ভব হয়, তাহলে স্ত্রী আলাদা ঘরের দাবি করতে পারবে না। তবে রান্নাঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থাও এমন হতে হবে, যাতে স্ত্রীর স্বাধীনতা বজায় থাকে এবং অন্য কেউ তাতে অংশীদার না হয়।
ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্মানজনক রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। স্ত্রীর নিরাপদ ও স্বতন্ত্র আবাসন নিশ্চিত করা স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। যৌথ পরিবারে যদি স্ত্রীর কষ্ট হয়, তাহলে তাকে পৃথক আবাসনের সুযোগ দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে ন্যায়সংগত এবং আবশ্যক।
সূত্র ঃ https://www.facebook.com/watch/?v=1365414148228000&rdid=YNHblI6CPmVoMxAP
রাজু