ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

পবিত্র কাবা তাওয়াফ করার বৈজ্ঞানিক রহস্য কি?

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পবিত্র কাবা তাওয়াফ করার বৈজ্ঞানিক রহস্য কি?

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা ঘর মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিদিন লাখো মানুষ এই পবিত্র স্থানে তাওয়াফ করেন, যা শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয় বরং এর পেছনে রয়েছে গভীর আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য।

ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন, হাদিস এবং আধুনিক অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের দৃষ্টিকোণ থেকে এই তাওয়াফের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলে বোঝা যায় এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটা শক্তিশালী।

ইসলাম মতে, তাওয়াফ হলো ঘড়ির কাঁটার বিপরীতমুখী কাবাকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করা। এটি ফেরেশতাদের ইবাদতের একটি নিদর্শন, যা সপ্ত আসমানের ওপরে অবস্থিত বায়তুল মামুরে প্রতিফলিত হয়।

কোরআনে বর্ণিত আছে, "আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রেখো" (সুরা হজ: ২৬)।

বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন, মহাবিশ্বের সকল বস্তু নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তিত হয়। সূর্য গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে, চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে এবং পরমাণুর ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। একইভাবে, মুসলমানরা আল্লাহর ঘর কাবার চারপাশে প্রদক্ষিণ করে, যা প্রকৃতির সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, তাওয়াফ করার সময় হৃদস্পন্দন ও রক্তসঞ্চালন একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চলে আসে, যা শারীরিক সুস্থতার জন্য উপকারী। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সাতবার প্রদক্ষিণ করার ফলে মস্তিষ্কে প্রশান্তি সৃষ্টি হয়, যা মেডিটেশনের মতো কার্যকর। পৃথিবীর সকল জ্যোতিষ্ক, সৌরজগৎ এবং মহাবিশ্বের বস্তু এককেন্দ্রিক আবর্তনের নিয়ম মেনে চলে, কাবা তাওয়াফও সেই একই নিয়ম অনুসরণ করে।

তাওয়াফ মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মুসলমানরা একই স্থানে এক আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হন।

এটি শুধু ধর্মীয় অনুশীলন নয়, বরং এটি মানবজাতির অস্তিত্ব এবং সমগ্র মহাবিশ্বের সৃষ্টির নিয়মাবলীর সঙ্গে সম্পর্কিত।

ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা আত্মিক শুদ্ধির পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ও মহাজাগতিক নিয়মের সঙ্গে যুক্ত এক গভীর বাস্তবতা তুলে ধরে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/K-3L6RkIo5E?si=H0IPp6X5Mij8yYSK

এম.কে.

×