কাবা ঘর পৃথিবীর প্রথম সৃষ্টি। এটি মহান আল্লাহর ঘর। এ ঘরকে ঘিরে যে মসজিদ তৈরি হয়েছে মসজিদুল হারাম। পৃথিবীর কোটি কোটি প্রাণ প্রতিদিন এ ঘর অভিমুখী হয়ে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করেন।
মহান আল্লাহ পবিত্র কাবার ৮টি স্থানে সবসময় দোয়া কবুল করেন।
চলুন জেনে নেই যে ৮টি স্থানে সবসময় দোয়া কবুল হয়-
১. মাকামে ইবরাহিম
মাকামে ইবরাহিম হলো মসজিদুল হারামের ভেতরে অবস্থিত একটি পবিত্র স্থান। মাকামে ইবরাহিমে ২ রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত। এ স্থানে আপনার করা দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
২. সাফা ও মারওয়া
এটি সেই জায়গা যেখানে হজরত ইসমাইল (আ.)- এর মা হাজেরা (আ.) পানির জন্য দৌড়েছিলেন। সায়ি করার সময় দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
৩. মিজাবে রহমতের নিচে
মিজাবে রহমত হল রুকনে শামি এবং রুকনে ইরাকির মাঝখানে কাবার শীর্ষে অবস্থিত একটি সোনার ছিট, যেখান থেকে বৃষ্টির পানি হিজর ইসমাইলের দিকে পড়ে। মানুষের বিশ্বাস এই পানি বরকত ও শিফায় পরিপূর্ণ। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে, মিজাবে রহমতের নিচে প্রতিটি দোয়া কবুল হয়।
৪. কাবার ভেতরে
কাবার দরজা সর্বসাধারণের জন্য খোলা হয় না, শুধু বিশেষ ব্যক্তিদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। ভেতরে যে দোয়া করা হয় তা কবুল হয়।
৫. হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর)
হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে এসেছে। এটি কালো পাথর নামেও পরিচিত যা হজরত ইবরাহিম (আ.)- এর কাছে পেশ করা হয়েছিল; যাতে তিনি কাবার কোণে স্থাপন করতে পারেন। যদি কেউ কালো পাথরে চুম্বন করার সুযোগ পায় তবে সে যে দোয়া করবে কবুল হবে।
৬. হাতেম
হাতেমে নামাজ পড়ার সওয়াব পবিত্র কাবার ভেতরে নামাজ পড়ার সমান। হাতেমও মসজিদে হারামের একটি জায়গা যেখানে দোয়া কবুল হয়।
৭. মুলতাজাম
এটি এমন একটি এলাকা যা একদিকে হাজরে আসওয়াদের পাশে অবস্থিত, অন্যদিকে কাবার দরজা । তাওয়াফ শেষ করার পর এখানে এসে দোয়া করতে হয়।
৮. মাতাফ
এটি সেই স্থান যেখানে আপনি পবিত্র কাবার চারপাশে তাওয়াফ করেন। বলা হচ্ছে যে, আপনি যখন তাওয়াফ করবেন, তখন যতক্ষণ আপনি মাতাফে থাকবেন ততক্ষণ আপনার সব দোয়া কবুল হয়।
সজিব
