ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

যেভাবে ঘুমাতেন আমাদের প্রিয়নবী (সা.):সুন্নত ও বিজ্ঞানের চমকপ্রদ মিল!

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:২০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যেভাবে ঘুমাতেন আমাদের প্রিয়নবী (সা.):সুন্নত ও বিজ্ঞানের চমকপ্রদ মিল!

আমরা সবাই জানতে চাই, কীভাবে ঘুমাতেন আমাদের প্রিয় নবীজী (সা.)? তিনি সাহাবীদের কীভাবে ঘুমানোর নির্দেশ দিয়েছেন? অনেকেরই জানা নেই, ঘুমের সুন্নত পদ্ধতির পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই নবীজির ঘুমের সুন্নত ও আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি।


ঘুম আল্লাহর দেওয়া অন্যতম বড় নেয়ামত। মানুষ না খেয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারলেও, ১১ দিনের বেশি না ঘুমিয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব। ইসলামে ঘুমকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যদি তা সুন্নত মোতাবেক হয়। রাসূল (সা.) দিনের কর্মপরিকল্পনার মতোই রাতে ঘুমানোর দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।
হাদিস অনুসারে, রাসূল (সা.) ঘুমানোর আগে ওজু করতেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দিতেন। তিনি বাতি নিভিয়ে, দরজা বন্ধ করে, খাদ্য ও পানীয় ঢেকে ঘুমাতে বলতেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২০১২)। এছাড়া, তিনি বিছানা ঝেড়ে ডান কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।


চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হজম ভালো হয়, কারণ পাকস্থলী থেকে খাদ্য সহজে নিচে নেমে আসে। মুম্বাই হাসপাতালের ডাক্তার কৃষ্ণলাল বর্মার গবেষণায় দেখা গেছে, ডান কাত হয়ে ঘুমানো রোগীদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক।


রাসূল (সা.) এশার নামাজের আগে ঘুমানো অপছন্দ করতেন এবং নামাজের পর অহেতুক গল্পগুজব থেকে বিরত থাকতে বলতেন (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)। রাত জাগার ফলে দেহে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, রাতজাগা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও মানসিক রোগের ঝুঁকি বেশি।


ইসলামিক শিক্ষা এবং আধুনিক বিজ্ঞান, উভয়ই নবীজির সুন্নত ঘুমের নিয়মের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রমাণ করেছে। তাই অহেতুক রাত জাগা পরিহার করে সুন্নত মোতাবেক ঘুমানোই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।


সূত্র:https://tinyurl.com/47wkxv5j

আফরোজা

×