
ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র শবে বরাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা ইসলামিক ক্যালেন্ডারে ১৫ শাবান তারিখে পালন করা হয়। এই রাতে মুসলিমরা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ইবাদত ও দোয়া করেন। শবে বরাতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যেগুলি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ।
ক্ষমা ও রহমত: মুসলিমরা বিশ্বাস করেন যে, শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাদের সমস্ত পাপ মাফ করেন এবং তাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন। এই রাতেই আল্লাহ সিদ্ধান্ত নেন, যে কেউ বাঁচবে, মারা যাবে, তার জীবনের আয়ু, ভাগ্য, রিজিক, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নফল নামাজ ও দোয়া: শবে বরাতের রাতে মুসলিমরা অতিরিক্ত নামাজ (নফল নামাজ) আদায় করেন, যাতে তারা আল্লাহর কাছে নিজেদের ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। এছাড়াও, তারা আল্লাহর কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎ এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করেন।
তাওবা ও আত্মশুদ্ধি: এই রাতে মুসলিমরা তাওবা (পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) করে নিজেদের পাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। এটি আত্মশুদ্ধির এক সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। যেকোনো ধরনের ভুল, পাপ, বা গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ দোয়া: শবে বরাতের রাতে বিশেষ দোয়া পড়া হয়, যা মুসলিমদের জীবনে শান্তি, সাফল্য, এবং আল্লাহর রহমত আনতে সহায়ক বলে বিশ্বাস করা হয়। কিছু বিশেষ দোয়া ও সূরা রয়েছে, যেগুলি এই রাতে পড়া হয়, যেমন: সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা মুলক ইত্যাদি।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: শবে বরাতের সাথে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও জড়িত। ইসলামী ইতিহাসে বলা হয় যে, এই রাতে নবী করিম (সা.) এর জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দয়ালু এবং রহমতপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে।
শবে বরাতের আমল:
নফল নামাজ: মুসলিমরা রাতে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তাঁর রহমত কামনা করেন।
দোয়া ও তাওবা: বিশেষ দোয়া ও তাওবা করে আল্লাহর কাছে আত্মশুদ্ধি অর্জন করার চেষ্টা করা হয়।
পথভ্রষ্টদের জন্য দোয়া: এই রাতে মুসলিমরা তাঁদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এবং অসুস্থদের জন্য বিশেষ দোয়া করেন।
যাকাত ও দান: কিছু মুসলিম শবে বরাতের রাতে দান-খয়রাত করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাহায্য করেন।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক