ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

জান্নাতি তুবা বৃক্ষের অধিকারী হবেন কারা?

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জান্নাতি তুবা বৃক্ষের অধিকারী হবেন কারা?

জান্নাতে বিশেষ একটি গাছের নাম তুবা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "কোনো আরোহী যদি ওই গাছের ছায়ার তলে শত বছর ধরে চলতে থাকে, তবুও তা অতিক্রম করতে পারবে না।" তবে সবাই এই গাছের অধিকারী হবে না।


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন, "যারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য তুবা রয়েছে। আর তাদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম।"
তুবার ব্যাখ্যায় ইবনে আবু তালহা (রহ.) ইবনে আব্বাস (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তুবা অর্থ আনন্দ ও চোখের শীতলতা। ইব্রাহিম (রহ.) বলেছেন, তুবা অর্থ তাদের জন্য কল্যাণ। ইকরিমা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তুবা দ্বারা উদ্দেশ্য জান্নাত। ইবনে জারির আল-তাবারি (রহ.) শাহর ইবনে হযরত আলী (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা হল জান্নাতের একটি গাছ।


এই গাছ সম্পর্কে হাদীসে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, যার ছায়ায় শত বছর ধরে চললে তাও অতিক্রম করা সম্ভব হবে না।" যারা বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, তারা তুবার ছায়ায় আনন্দ ভ্রমণ করবে।


হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন বুশের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি তার আমলনামায় বেশি পরিমাণ ক্ষমাপ্রার্থনা যোগ করবে, তার জন্য তুবা। আর যে ব্যক্তি অল্পে সন্তুষ্ট থাকবে, সে জান্নাতের গাছের অধিকারী হবে।"


ফাজালা ইবনে উবাইদিল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, "যে ব্যক্তি ইসলামের পথে হিদায়াত পেয়েছে এবং তার জীবিকা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও সেটাতে খুশি, সে কত সৌভাগ্যবান।"


তবে তুবা ছাড়া জান্নাতে আরও নানা রকম বৃক্ষ এবং ফলের গাছ থাকবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, "নিশ্চয় আল্লাহ ভীরুদের জন্য সফলতা রেখেছেন। উদ্যানসমূহ এবং বিভিন্ন ধরনের আঙ্গুর-সেখানে রয়েছে ফলমূল, খেজুর, ডালিম।" আরও ইরশাদ করেছেন, "কত ভাগ্যবান ডান হাতে আমলনামা প্রাপ্তরা, তারা থাকবে এক বাগানে, যেখানে কাঁটাহীন কুলগাছ ও কাঁদি ভরা কলাগাছ থাকবে।"


সূত্র:https://tinyurl.com/3d7mxuy6
 

আফরোজা

×