ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

শবে বরাতেও ক্ষমা পাবেন না যারা

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শবে বরাতেও ক্ষমা পাবেন না যারা

পবিত্র শবে বরাত ক্ষমার রজনী। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। গুনাহ মাফ করেন। তবে দুই শ্রেণীর মানুষকে এ রাতেও আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেন না। তারা হলেন অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ও মুশরিক ব্যক্তি।

বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ অর্ধ-শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান ৫৬৬৫)

মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন শিরককারীকে। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা সবচেয়ে বড় গোনাহ। তিনি শিরকের গোনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করাই শিরক।

মহান আল্লাহ শিরকের গোনাহের পরিণতি সম্পর্কে ঘোষণা করেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে লোক আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে; সে যেন অপবাদ আরোপ করে। (সুরা নিসা ৪৮)

হিংসা একটি ভয়ংকর মন্দ স্বভাব। যার ফলে আমাদের অনেক নেক আমল; ভালো কাজ, নেকি ও পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। হিংসা বা অহংকার মানুষের পতন ঘটায়।

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হিংসা থেকে সাবধান! কেননা হিংসা নেকীকে এমনভাবে ধ্বংস করে; যেমন আগুন লাকড়ি ধ্বংস করে। (আবু দাউদ ৪৯০৩)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বার বার নিজেকে ক্ষমাশীল বলেছেন। আর শুধু শবে বরাত না। প্রতি রাতেই মহান আল্লাহ অপেক্ষা করেন তাঁর কোন বান্দা তাঁর কাছে ক্ষমা চায়, তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। আবু হোরায়রা (র) থেকে বর্ণিত। 

মহানবী (স) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসে যখন রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিক্রম হয়। আর বলেন, আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক। এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকে যার ডাকে আমি সাড়া দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে তা দিবো? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো? [সহীহ মুসলিম]

 

সজিব

×