![মরুর বুকে আজও দাঁড়িয়ে আছে মুহাম্মদ (স) কে ছায়াদানকারী সাহাবী বৃক্ষ মরুর বুকে আজও দাঁড়িয়ে আছে মুহাম্মদ (স) কে ছায়াদানকারী সাহাবী বৃক্ষ](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/BeFunky-collage-2502131100.jpg)
ছবি: সংগৃহিত
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। জন্মের পূর্বেই তিনি তার বাবা আবদুল্লাহকে হারান, এবং মাত্র ৬ বছর বয়সে মাকে হারানোর পর, তাকে আরবের ধাত্রী প্রথা অনুসারে বনু সাদ বংশের ধাত্রী হালিমার কাছে পাঠানো হয়। যদিও প্রথমে, নবজাতক মুহাম্মদ (সা.) তার মাতা আমিনা এবং পরে চাচা আবু লাহাবের দাসী ছুওয়াইবার দুধ পান করেছিলেন। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ধাত্রী হালিমার কাছে ছিলেন।
বাবা-মা মারা যাওয়ার পর, মুহাম্মদ (সা.)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার দাদা আব্দুল মুত্তালেব, কিন্তু তিনি কিছুদিন পর ইন্তেকাল করেন। এরপর তার চাচা আবু তালিব তাকে নিজের সন্তানের মতো পালন করতে শুরু করেন। আবু তালিব এবং তার স্ত্রী ফাতিমা মুহাম্মদ (সা.)-কে স্নেহ ও যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, যেমন সততা, নির্ভীকতা, আমানতদারিত্ব এবং কঠোর পরিশ্রমের গুণাবলি।
চাচা আবু তালিব ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, এবং তাকে সহকারে মুহাম্মদ (সা.) অল্প বয়সে ব্যবসা শিখেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে, আবু তালিবের সাথে ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জর্ডানের মরুভূমিতে তারা যখন মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এক পাদ্রি লক্ষ্য করেন যে, একটি মেঘ বালক মুহাম্মদ (সা.)-কে ছায়া দিয়ে যাচ্ছিল। যেখানে যেখানে তিনি যাচ্ছিলেন, মেঘটি তার সাথে থাকছিল। পাদ্রী অবাক হয়ে যান। গেলেন।
এরপর মুহাম্মদ ও তার চাচা সেই মরুভূমির শুকিয়ে যাওয়া, মৃতপ্রায় এক গাছের নিচে গিয়ে বসলেন। তখনিই আল্রাহর কবুরতে সবুজ পাতায় ভরে উঠলো গাছটি। ১৪০০ বছর পর আজও সেখানেই সবুজ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে গাছটি। এটিকে বলা হয় সাহাবী গাছ। এসব ঘটনা দেখে পাদ্রী ছুঠে এলেন আবু তালিবের কাছে এবং বালকের পরিচয় জানতে চাইলেন। সবকিছু শুনে পাদ্রী বুঝতে পারলেন, এই বালকই তাদের কিতাবে বর্ণিত শেষ নবী।
এরপর পাদ্রী আবু তালিবকে এসে জানান, এই বালকই সেই শেষ নবী, যা তাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তিনি আবু তালিবকে সতর্ক করেন, ভবিষ্যতে তার অনেক শত্রু হবে। আবু তালিব সেই পাদ্রীর কথাগুলি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে রেখেছিলেন।
ইসরাত জাহান