ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

হযরত সুলাইমান (আঃ) ও পিপীলিকার ঘটনা: রিযিকের বরকত লাভের জন্য দোয়া

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হযরত সুলাইমান (আঃ) ও পিপীলিকার ঘটনা: রিযিকের বরকত লাভের জন্য দোয়া

হযরত সুলাইমান (আঃ) ও পিপীলিকার ঘটনা ইসলামী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত, যা আমাদের রিযিকের জন্য আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও নির্ভরশীলতার শিক্ষা দেয়।

হযরত সুলাইমান (আঃ) ও পিপীলিকার ঘটনা:

একবার হযরত সুলাইমান (আঃ) তাঁর বিশাল বাহিনীসহ একটি স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিপীলিকার একটি দল তাদের আসন্ন আগমনের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাদের সর্দার একটি পিপীলিকা সুলায়মান (আঃ)-এর বাহিনীকে দেখে তাদেরকে দ্রুত আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেন, যাতে তারা পাদপিষ্ট হয়ে না যায়। সুলায়মান (আঃ) পিপীলিকার এই বক্তব্য শুনে মুচকি হাসেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন, কারণ তিনি পিপীলিকাদের ভাষা বোঝার ক্ষমতা দান করেছেন। এ ঘটনা কুরআনে সূরা আন নামল এ বর্ণিত হয়েছে।

রিযিকের জন্য দোয়া ও আমল:

রিযিকের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ইস্তিগফার ও দোয়ার মাধ্যমে রিযিকের বরকত বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, রাসুল (সা.) প্রতি ফরজ নামাজের পর তিনবার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) পড়তেন।

এছাড়া, রিযিক বৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া রয়েছে:

'اللّهُمّ اكفني بحلالك عن حرامك، واغنني بفضلك عمن سواك'

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা আকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মা সিওয়াক'

অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমাকে তোমার হালাল দ্বারা হারাম থেকে বিরত রেখো এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা অন্যদের থেকে আমাকে পরিতৃপ্ত করো।'

এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে রিযিকে বরকত আসে এবং হারাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হযরত সুলাইমান (আঃ) ও পিপীলিকার ঘটনা আমাদের শেখায় যে, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও নির্ভরশীলতা রিযিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত দোয়া, ইস্তিগফার এবং বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে রিযিকের বরকত বৃদ্ধি পায়।

জাফরান

×