ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

ইস্তিগফার পাঠের অলৌকিক ফজিলত!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইস্তিগফার পাঠের অলৌকিক ফজিলত!

পবিত্র কোরআন

একবার ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রা.) একটা শহরে যাচ্ছেন। পথে এশার নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে উনি কাছের একটা মসজিদে ঢুকলেন। রাত হয়েছে। তাকে অনেক দুর যেতে হবে। তাই তিনি চিন্তা করলেন। ফজরের নামাজ পড়ে এই মসজিদ থেকে যাত্রা শুরু করবেন। তিনি নামাজ পড়ে মসজিদে বসে থাকলেন। নামাজের পর মসজিদে তাকে দেখে মসজিদের রক্ষি তাকে বললেন, মসজিদে রাত্রি যাপন করা নিষেধ।

আহমদ বিন হাম্বল (রা.) নিরুপায় হয়ে সেখান থেকে বের হয়ে পড়লেন। মসজিদের বাইরেই ছিল একটা রুটির দোকান। আহমদ বিন হাম্বল (রা.) যুবক দোকানদারকে ছালাম দিয়ে বললেন, শীতের রাত আমি কি আপনার কাছে আগুন পোহাতে পোহাতে রাত কাটিয়ে দিতে পারি?

দোকানদার বললেন, এতে আমার কোন সমস্যা নেই। আহমদ বিন হাম্বল (রা.) লক্ষ্য করলেন, যুবকটি রুটির খামি তৈরি করতে করতে বলছেন আসতাগফিরুল্লাহ। রুটি বানাতে বলছেন আসতাগফিরুল্লাহ। ক্রেতার হাতে রুটি দিতে দিতে বলছেন আসতাগফিরুল্লাহ। টাকা নিতে গিয়ে বলছেন আসতাগফিরুল্লাহ।  

অর্থ্যাৎ সব কাজেই যুবকটি বলছেন, আসতাগফিরুল্লাহ।  আহমদ বিন হাম্বল (রা.) কৌতুহল বেড়ে গেল।  হে যুবক? আমি আসার পরপরই দেখছি আপনি আসতাগফিরুল্লাহ পড়ছেন। কেন আপনি এতো ইসতেগফার পড়ছেন।

যুবক বলল,  আমি সব সময় ইসতেগফার পড়ি। এই আমলের ফলে আমি আল্লাহ কাছে যখনই কোন দোয়া করেছি। তখনই আল্লাহ আমার সকল দোয়া কবুল করে নিয়েছেন। যুবকের কথা শুনে আহমদ ইবনে হাম্মল একেবারেই অবাক। তবে আমার একটি দোয়া এখনো কবুল হয়নি।  আহমদ বিন হাম্বল (রা.) কৌতুহল আরো বেড়ে গেল।

তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনার যে দোয়াটি এখনও কবুল হয়নি, সেটা কোনটা?

রুটিওয়ালা বললেন,   আল্লাহর কাছে আমি অনেকবার এই দোয়া করেছি যে, শুনেছি এই সময়ের বড় মোহাদ্দেস ইমাম ইবনে হাম্মল। তার দেখা যেন পাই। এবার আবেগ  আহমদ বিন হাম্বল (রা.) চোখে পানি চলে এলো। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বললেন, আপনার কবুল না হওয়া দোয়াটা আজ কবুল হলো। আপনার সামনে আমি  আহমদ বিন হাম্বল (রা.)।

নিশ্চয় আপনার দোয়ার কারণে মহান আল্লাহ আপনার নিকটে নিয়ে এসেছেন।

শহীদ

×