![ব্ল্যাক হোল নিয়ে ১৪০০ বছর আগে যে ইঙ্গিত দিয়েছে আল কোরআন ব্ল্যাক হোল নিয়ে ১৪০০ বছর আগে যে ইঙ্গিত দিয়েছে আল কোরআন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/05-2502121323.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞানীরা বহু গবেষণার পর ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। এটি মহাবিশ্বের এক রহস্যময় সৃষ্টি, যার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি যে আলো পর্যন্ত এর আকর্ষণ থেকে বের হতে পারে না।
সাধারণত, একটি বিশাল নক্ষত্রের মৃত্যু হলে ব্ল্যাক হোল তৈরি হয়। ১৯১৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের মাধ্যমে এর অস্তিত্বের ধারণা দেন। পরবর্তীতে, ২০১৯ সালে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ প্রথমবারের মতো একটি ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশ করে, যা বিশ্ববাসীকে রীতিমতো চমকে দেয়।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, আধুনিক বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারের সাথে ১৪০০ বছর আগে নাযিল হওয়া পবিত্র আল কোরআনের কিছু আয়াতের আশ্চর্যজনক মিল পাওয়া যায়। কোরআনের ৮১ নম্বর সূরা আত্তাকভীর-এর ১ ও ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “সূর্য যখন নিষ্প্রভ হবে এবং নক্ষত্র যখন বিলীন হয়ে যাবে”। বিজ্ঞান বলছে, একটি নক্ষত্র যখন ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়, তখন সেটি তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই সূরার ১৫ ও ১৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “আমি শপথ করছি সংকুচিত নক্ষত্রের, যা চলমান এবং হারিয়ে যায়”। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে ব্ল্যাক হোল হলো একটি সংকুচিত নক্ষত্র, যা প্রবল মাধ্যাকর্ষণের কারণে আশপাশের সবকিছু টেনে নেয় এবং নিজেও অদৃশ্য হয়ে যায়।
এছাড়াও, সূরা আল-হুমাজার একটি আয়াতে বলা হয়েছে: “কখনো না, তাকে অবশ্যই চূর্ণ-বিচূর্ণকারীর মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে”। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, ব্ল্যাক হোল আশপাশের সবকিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ করে নিজের মধ্যে গ্রাস করে নেয়।
অবাক করার বিষয় হলো, বিজ্ঞান মাত্র কয়েক দশক আগে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে, কিন্তু কোরআনে এমন শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা অবিশ্বাস্যভাবে এই মহাজাগতিক ঘটনার সাথে মিলে যায়। এই বিস্ময়কর মিল আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে—কিভাবে ১৪০০ বছর আগেই এই তথ্য কোরআনে লিপিবদ্ধ ছিল? তাইতো আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, “আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর গোপন বিষয় আল্লাহরই নিয়ন্ত্রণে”।
বিজ্ঞান যতই অগ্রসর হোক, কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের সাথে তার মিল পাওয়া আমাদের জন্য এক অভাবনীয় বিস্ময়। মহাবিশ্বের অজানা রহস্য উদ্ঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে কোরআনের জ্ঞানের গভীরতাও ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। তাহলে আমরা কি এখনো চিন্তা করবো না?
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/g8YYwAxsywI?si=4HqOrwzc3AhUwsf6
এম.কে.