![মাঘীপূর্ণিমার পুণ্যস্নানে ভক্তদের ঢল মাঘীপূর্ণিমার পুণ্যস্নানে ভক্তদের ঢল](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/1-17-2502120951.jpg)
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে অবস্থিত কয়ড়া কালীবাড়ি সংলগ্ন চন্দনা-বারাসিয়া নদে আড়াইশো বছরের পুরনো ঐতিহ্য মাঘীপূর্ণিমার পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা।
বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারী)সকাল থেকে দিনব্যাপী এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান ও নানা আয়োজনের পাশাপাশি বসেছে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্য মেলা। তিন দিনব্যাপী চলে এ মেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে এ পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে নিজেদের পাপ মোচন করেন। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। এই তীর্থস্নানে হাজারো ভক্তবৃন্দ অংশ নেন। গঙ্গাস্নানের অংশ হিসেবে কুমার নদের এ ঘাটে পবিত্র হতে এ স্নান করা হয়। মা গঙ্গা মন্ত্র, আসমান, সূর্যাগ্য মন্ত্র এরকম নানা মন্ত্র পাঠ করা হয়।
মাগুরা থেকে আগত শেফালী রানী দাস জনকণ্ঠকে জানান, কয়েক বছর ধরে এখানে আসি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এবারও এসেছি। স্নান করে মন্ত্র পাঠ করে প্রসাদ গ্রহণ করেছি।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা প্রদিপ বালা জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতি বছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে এসে স্নানের মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে নিজেদের পাপ কিছুটা মোচনের চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে কয়রা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা জনকন্ঠকে বলেন, কয়েক শত বছর ধরে কয়রা কালিমন্দির সংলগ্ন কুমার নদে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জেলা-উপজেলা ও দেশের বাইরে থেকে এখানে ভক্তবৃন্দ আসেন। স্নান শেষে সকলকে প্রসাদ দেওয়া হয়। এছাড়া সপ্তাহব্যাপী গ্রাম্য মেলা চলে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নয়ন/সাজিদ