![ঘুমের কারণে দেরিতে ফজরের নামাজ পড়লে কি গুনাহ হবে? ঘুমের কারণে দেরিতে ফজরের নামাজ পড়লে কি গুনাহ হবে?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/17-2502082354.jpg)
ছবি: প্রতীকী
ঘুম মানুষের নিত্যদিনের একটি চাহিদা। মানুষ বলতেই তার বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের প্রথম প্রহরে ইশার নামাজ আদায় করেই ঘুমিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও বর্তমানে আমরা জীবনের তাগিদে কখনো কখনো ঘুমাতে দেরি করি।
আর ঘুমাতে দেরি করলে, ঘুম থেকে উঠতেও কিন্তু কষ্ট হয়। ফজর নামাজ পড়তেই পারি না। অনেকে এ বিষয়ে জানতে চান, ঘুম থেকে ওঠতে না পারলে নামাজ কিভাবে কাজা করবেন, কখন কাজা করবেন।
অনেকে জানতে চান, সূর্যোদয়ের পর যদি ঘুম ভাঙ্গে এমন সময়ে ফজরের নামাজ আদায় করবো কখন?
আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূর্যোদয়ের সময় অর্থাৎ যতক্ষণ না তার হলুদ রঙ ভালোভাবে চলে যায় ও আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে; এ সময় নামাজ পড়া নিষেধ। এরজন্য আনুমানিক ১৫-২০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়। সুতরাং এসময়ে কোনো নামাজ পড়া যাবে না। এসময়ের পর ফজর পড়বেন কাজা হিসেবে। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে, উকবা বিন আমের জুহানি (রহ.) বলেন-
ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামাজ আদায় না করা কবিরা গুনাহ। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর। (সুরা মাউন, আয়াত : ৪-৫)
ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারলে বা ভুলে যাওয়ার কারণে ফজর নামাজ ছুটে গেলে তার ওপর কাজা করা ওয়াজিব। কেননা রসুলুল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তার কাফফারা হলো যখনই তা মনে হবে, তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৮৪)
নামাজ কাজা হয়ে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখনই তা কাজা করবে। বিনা উজরে দেরি করা জায়েজ নয়। তাই ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেলে বেলা উঠার পর পরই পড়ে নেয়া। কাজার নিয়্যত করবে। তবে ঐ দিন দ্বি-প্রহরের পূর্বে পড়লে সুন্নাতেরও কাজা পড়বে। আর যদি দ্বি-প্রহরের পরে পড়ে বা অন্য কোন দিন পড়ে তাহলে শুধু ফরজ এর কাজা পড়বে। (ফাতাওয়া আলমগিরি ১:১২১, ফাতাওয়া শামি ২:১৫, হিদায়া ১:১৫২)
শহীদ