ছবি: সংগৃহীত
হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এই মাসের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী (সা.) এ মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এবং বেশি বেশি ইবাদত করতেন।
শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে বলা হয় লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা শবে বরাত। এটি গুনাহ মাফের রাত, যখন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য ক্ষমার দরজা খুলে দেন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, “যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসবে, তখন তোমরা রাত জেগে নামাজ আদায় করো, আর দিনে রোজা রাখো। নিশ্চয়ই আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে বান্দাদের ডাকতে থাকেন—গুনাহ মাফপ্রার্থী, রিজিকপ্রার্থী বা বিপদগ্রস্ত কেউ আছে কি? আমি তার প্রয়োজন পূরণ করব।” (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮)
শাবান মাসে নফল রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, “নবী (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি অন্য কোনো মাসে রোজা রাখতেন না। তিনি প্রায় পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন।” (বুখারি: ১৯৭০)
রাসুল (সা.) শাবান মাসে রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতে দোয়া করতেন। তিনি বলতেন:
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبَ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। (আহমাদ: ২৫৯)
শাবান মাসের শেষ দুই দিন (২৯ ও ৩০ তারিখ) রোজা রাখা অনুৎপাদক unless কেউ নিয়মিত রোজার অভ্যাসে থাকেন। নবী (সা.) বলেছেন, “তোমরা রমজানের এক দিন বা দুই দিন আগে থেকে রোজা রেখো না। তবে কেউ যদি নিয়মিত ওই দিনগুলোতে রোজা রাখে, তবে রাখতে পারবে।” (আবু দাউদ: ১৩৩৫)
শাবান মাস ইবাদত, দোয়া ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে রমজানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বিশেষ সময়। এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানা এবং তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো প্রত্যেক মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাবিব