ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

জান্নাতিদের জীবন-যাপন যেমন হবে

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জান্নাতিদের জীবন-যাপন যেমন হবে

ছবি: সংগৃহীত

কুরআন এবং হাদিসে জান্নাতের বর্ণনা অত্যন্ত বিশদভাবে এসেছে। আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জান্নাতে পরিপূর্ণ সুখ-শান্তি এবং অসীম নেয়ামত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জান্নাতের বিভিন্ন আয়াতে জান্নাতবাসীদের পারস্পরিক সম্পর্ক, সাক্ষাত এবং জীবনাচারের কথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখের মাঝে একটি চিরস্থায়ী এবং পূর্ণ সুখের ধারণা দেয়।

 

জান্নাতের নেয়ামত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের বাসিন্দারা পরস্পর উট ও ঘোড়ার ওপর আরোহন করে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাবে। জান্নাতের ঘোড়াগুলি কোনো মলমূত্র ত্যাগ করবে না, এবং এই ঘোড়াগুলোর লাগাম ও জিন হবে মূল্যবান রত্নপাথরের তৈরি। এগুলো ডানা সহ, উড়ে চলে যাবে, এবং জান্নাতিরা যেখানে চায় সেখানে দ্রুত পৌঁছে যাবে।

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু এক হাদিসে বর্ণনা করেছেন যে, জান্নাতে একটি বিশাল গাছ থাকবে, যার শাখা-প্রশাখা থেকে জান্নাতবাসীদের জন্য পোশাক এবং সোনালি রঙের ঘোড়া বের হবে। এই ঘোড়াগুলি ততদূর পর্যন্ত উড়ে যাবে যতদূর দৃষ্টি যায়, এবং এদের ওপর আরোহী হয়ে জান্নাতবাসীরা সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করবে।

 

আরও একটি হাদিসে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতের দাওয়াতের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সেখানে আল্লাহ তাআলা নিজে একটি মহামানবিক বাড়ি নির্মাণ করে লোকজনকে দাওয়াত দেবেন। যারা দাওয়াত গ্রহণ করবে তারা জান্নাতের নেয়ামত লাভ করবে, আর যারা দাওয়াত অগ্রাহ্য করবে তারা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় হয়ে যাবে।

এই ধরনের বর্ণনা থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, জান্নাতে পরস্পরের সাক্ষাৎ এবং সম্পর্ক একেবারে স্বর্গীয় এবং সুদৃঢ় হবে। এ সকল বর্ণনা মানুষের মনে জান্নাতের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে, যেন তারা দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখের মধ্যে আটকা না পড়ে, বরং চিরস্থায়ী সুখের জন্য নিজের জীবন পরিচালনা করে।

তাবিব

×