ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

গভীর রাতে যেসব ইবাদত করবেন

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গভীর রাতে যেসব ইবাদত করবেন

ছবি: সংগৃহীত

রাতের গভীরতা মুমিনের জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। এ সময় আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের ইবাদতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামও তা পালন করতেন। রাতে ঘুমানোর আগে ও গভীর রাতে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা করলে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব।

 

গভীর রাতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত

১. অজু করা

  • রাতে ঘুমানোর আগে অজু করে শোয়া ফজিলতপূর্ণ আমল। এতে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

  • হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অজু করে ঘুমায়, তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে।’ (তাবারানি, ইবনে হিব্বান)

২. আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া

  • আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা পাহারাদার নিযুক্ত হন এবং শয়তান কাছে আসতে পারে না। (বুখারি)

  • সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়লে দুনিয়ার সব অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। (বুখারি)

৩. সুরা মুলক তেলাওয়াত করা এবং ইসতেগফার করা

  • হাদিসে আছে, ‘সুরা মুলক কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে।’ (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)

  • রাতে বেশি বেশি ইসতেগফার করলে গুনাহ মাফ হয় এবং রহমত বর্ষিত হয়। 

. তিন কুল (সুরা নাস, ফালাক ও ইখলাস) পড়া

  • রাসুলুল্লাহ (সা.) এ তিনটি সুরা তিনবার পড়ে নিজ শরীরে ফুঁ দিতেন এবং হাত বুলিয়ে নিতেন। এটি জিন ও শয়তানের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করে। (বুখারি)

৫. সুরা কাফিরূন ও সুরা ফাতিহা পড়া

  • রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুরা কাফিরূন শিরক থেকে মুক্তির দলিল।’ (আবু দাউদ, তাবারানি)

  • সুরা ফাতিহা যেকোনো কষ্ট থেকে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম।

৬. তিন তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পড়া

  • রাসুল (সা.) ঘুমানোর আগে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি)

  • এটি শান্তিময় ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

৭. ঘুমানোর সময় দোয়া পড়া এবং ডান কাতে শোয়া

  • রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আপনার নামে আমি মৃত্যুবরণ করি এবং জীবিত হই।’ (বুখারি)

  • ডান কাতে শোয়া সুন্নত এবং এতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দিক রয়েছে।

 

রাতের আমলের উপকারিতা

  • এসব আমল করলে আত্মা প্রশান্ত হয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

  • দুনিয়ার যাবতীয় বিপদ থেকে হেফাজত পাওয়া যায়।

  • আখেরাতের সফলতা অর্জিত হয়।

 

 

 

তাবিব

×