ছবি: সংগৃহীত
রাতের গভীরতা মুমিনের জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। এ সময় আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের ইবাদতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামও তা পালন করতেন। রাতে ঘুমানোর আগে ও গভীর রাতে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা করলে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব।
গভীর রাতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত
১. অজু করা
-
রাতে ঘুমানোর আগে অজু করে শোয়া ফজিলতপূর্ণ আমল। এতে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
-
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অজু করে ঘুমায়, তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে।’ (তাবারানি, ইবনে হিব্বান)
২. আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া
-
আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা পাহারাদার নিযুক্ত হন এবং শয়তান কাছে আসতে পারে না। (বুখারি)
-
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়লে দুনিয়ার সব অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। (বুখারি)
৩. সুরা মুলক তেলাওয়াত করা এবং ইসতেগফার করা
-
হাদিসে আছে, ‘সুরা মুলক কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে।’ (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)
-
রাতে বেশি বেশি ইসতেগফার করলে গুনাহ মাফ হয় এবং রহমত বর্ষিত হয়।
৪. তিন কুল (সুরা নাস, ফালাক ও ইখলাস) পড়া
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) এ তিনটি সুরা তিনবার পড়ে নিজ শরীরে ফুঁ দিতেন এবং হাত বুলিয়ে নিতেন। এটি জিন ও শয়তানের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করে। (বুখারি)
৫. সুরা কাফিরূন ও সুরা ফাতিহা পড়া
-
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুরা কাফিরূন শিরক থেকে মুক্তির দলিল।’ (আবু দাউদ, তাবারানি)
-
সুরা ফাতিহা যেকোনো কষ্ট থেকে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম।
৬. তিন তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পড়া
-
রাসুল (সা.) ঘুমানোর আগে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি)
-
এটি শান্তিময় ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
৭. ঘুমানোর সময় দোয়া পড়া এবং ডান কাতে শোয়া
-
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আপনার নামে আমি মৃত্যুবরণ করি এবং জীবিত হই।’ (বুখারি)
-
ডান কাতে শোয়া সুন্নত এবং এতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দিক রয়েছে।
রাতের আমলের উপকারিতা
-
এসব আমল করলে আত্মা প্রশান্ত হয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
-
দুনিয়ার যাবতীয় বিপদ থেকে হেফাজত পাওয়া যায়।
-
আখেরাতের সফলতা অর্জিত হয়।
তাবিব