ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

সোমবার রাতের ইবাদত: বিশেষ ফজিলত ও বরকত

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সোমবার রাতের ইবাদত: বিশেষ ফজিলত ও বরকত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে প্রতিটি রাতেরই আলাদা ফজিলত রয়েছে, তবে সোমবার রাতের ইবাদত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। হাদিস ও ইসলামি শিক্ষায় সোমবার ও বৃহস্পতিবারকে এমন দুটি দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেদিন আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। তাই এই রাত ইবাদতের মাধ্যমে কাটানো হলে তা বিশেষ সওয়াবের কারণ হতে পারে।

কেন সোমবার রাতের ইবাদত গুরুত্বপূর্ণ?

আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- "সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিনে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। আমি চাই যে, আমার আমল যখন আল্লাহর কাছে পেশ করা হবে, তখন আমি রোজা রেখে থাকি।" (তিরমিজি, আবু দাউদ)

গুনাহ মাফের সুযোগ
সোমবার রাতের ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফের সুযোগ রয়েছে। এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি বান্দার দোয়া কবুল করেন।

বিশেষ দোয়ার ফজিলত
সোমবার রাত দোয়া কবুলের অন্যতম সময়। রাসুল (সা.) বলেন, "সোমবার ও বৃহস্পতিবারে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং আল্লাহ বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করেন, যারা পরস্পর সম্পর্ক বজায় রাখে।" (মুসলিম)

সোমবার রাতে যেসব ইবাদত করা উচিত
তাহাজ্জুদ নামাজ: গভীর রাতে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে অনেক সওয়াব লাভ করা যায়।

কুরআন তিলাওয়াত: এই রাতে কুরআন তিলাওয়াত হৃদয় প্রশান্ত করে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে।

দোয়া ও ইস্তিগফার: আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, বিশেষত গুনাহের জন্য ইস্তিগফার করা উচিত।

দরুদ শরিফ পাঠ: বেশি বেশি দরুদ পড়লে নবিজির (সা.) সুপারিশ লাভের সুযোগ পাওয়া যায়।

সদকা করা: সোমবার রাতে দান-সদকা করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

সোমবার রাত আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। যারা এই রাতে ইবাদত করেন, তারা আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করেন। 


 

শিলা ইসলাম

×