ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতের প্রতি মানুষের এতো আগ্রহ কেন?

প্রকাশিত: ০২:১৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০২:৪৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতের প্রতি মানুষের এতো আগ্রহ কেন?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইজতেমার স্থান কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্প এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইজতেমা আয়োজিত হয়, যেখানে বিদেশি মুসল্লিদের অংশগ্রহণ শুরু হয়। এরপর ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিতভাবে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

 

প্রতি বছর ইজতেমার শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মুসল্লিরা ভিড় করেন। অনেকেই আগের রাত থেকেই ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেন। টঙ্গী এবং আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

মোনাজাতের প্রতি আগ্রহের কারণ ব্যাখ্যা করে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ আলেমরা উপস্থিত থাকেন এবং তাদের দোয়ায় শরিক হতে পারাকে অনেকেই সৌভাগ্য বলে মনে করেন। যদিও কেউ কেউ ইজতেমার দোয়াকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করেন, তবে এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় আবেগের বহিঃপ্রকাশ।

 

২০১১ সালের আগে বিশ্ব ইজতেমা একপর্বে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। তবে স্থান সংকট, জনসমাগম ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে তা দুই ধাপে বিভক্ত করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ৩২ জেলার অংশগ্রহণে দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এছাড়াও, যেসব জেলা টঙ্গীর ইজতেমায় অংশ নিতে পারে না, তাদের জন্য জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়।

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালে পুনরায় ইজতেমার আয়োজন শুরু হয়। ২০২৫ সাল থেকে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ—শূরায়ে নিজামপন্থী ও মাওলানা সাদ অনুসারী—প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে আলাদাভাবে ইজতেমায় অংশ নেবেন।

 

তাবিব

×