ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

খাবার সম্পর্কে নবীজির উপদেশ

প্রকাশিত: ০০:০০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খাবার সম্পর্কে নবীজির উপদেশ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব অভ্যাস ও আচরণ আমাদের জন্য অনুসরণীয়। তাঁর জীবনযাপনের ধরন ছিল স্বাস্থ্যকর। যেসব খাবার হালাল হওয়া সত্ত্বেও নিজের বা অন্যের জন্য কষ্টকর হয় তা খাওয়া থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরত থাকতেন ও উম্মতকেও এসব খাবার খেতে নিষেধ করেছেন।

খাবার গ্রহণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চমৎকার নীতি ছিল। আধুনিক কালে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সেটিকে স্বাস্থ্যসম্মত বলে স্বীকার করেছে। শরীরের পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো খাবারই গ্রহণ করতেন না নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম যদি কোনও খাবার অপছন্দ করতেন কিংবা আগ্রহ না পেতেন, তাহলে জোর করে আহার করতেন না। সুস্থ থাকার জন্য এটি বড় একটি মূলনীতি।

আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহুতাআ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও কোনও খাবারের দোষত্রুটি ধরেননি। ভাল লাগলে তিনি খেতেন এবং খারাপ লাগলেই রেখে দিতেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাবার গ্রহণে অত্যন্ত সংযমী ছিলেন। তিনি বলেন, মুমিন এক অন্ত্রনালীতে খাবার খায় আর কাফের খায় সাত অন্ত্রনালীতে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পছন্দ করতেন। আর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো খাবার তিনি খেতেন না। যেমন অতিরিক্ত গরম খাবার যে খাদ্য থেকে ধোঁয়া বের হয় এমন খাবার তৎক্ষণাৎ খেতেন না। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরিক্ত গরম খাবার ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতেন।

হযরত আবু হুরাইরা রা আল্লাহু আল্লাহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গরম খাবার খেতেন না।তিনি বলতেন, গরম খাদ্য বরকতহীন। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা আমাদের আগুন খাওয়াননি ।

হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কাঁচা রসুন পেঁয়াজ খেয়ে কেউ যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়৷ কেননা মানুষ যে সব দুর্গন্ধের কারণে কষ্ট পায় ফেরেশতারা ও তাতে কষ্ট পায়। তবে রান্না করা গন্ধহীন পেঁয়াজ রসুন খেতে কোনও সমস্যা নেই। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া হারাম না। তবে খেয়াল রাখতে হবে পেঁয়াজ খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নামাজে না দাঁড়ানো।অর্থাৎ মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী কোনও বস্তু খেয়ে মসজিদে যাওয়া কে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুবই অপছন্দ করতেন।

যখন খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিআল্লাহু তাআ আনহু নবীকে দব্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ দব্ব খাওয়া কি হারাম? নবী বললেন না। কিন্তু এটি যেহেতু আমাদের অঞ্চলে নেই তাই আমার অপছন্দ লাগে। তবে হানাফি মাজহাব মতে দব্ব খাওয়া জায়েজ নয় ।

ফুয়াদ

×