ছবি: সংগৃহীত
শবে মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই রাতে মক্কা থেকে আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস, সাত আসমান, জান্নাত ও জাহান্নাম ভ্রমণ করেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ নিয়ে আসেন। এই রাতটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।
তবে শবে মেরাজকে ঘিরে বিশেষ কোনো ইবাদত, নামাজ বা রোজার বিধান কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায় না। ইসলামী স্কলারদের মতে, শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ কোনো নফল নামাজ বা রোজার প্রচলন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহাবিদের সময়ে ছিল না।
যেসব আমল করা যেতে পারে:
-
ব্যক্তিগত ইবাদত-বন্দেগি: এই রাতে আপনি পছন্দমতো নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকার করতে পারেন। তবে এটি একটি সাধারণ নফল ইবাদত হিসেবে করা উচিত, বিশেষ কোনো উৎসব হিসেবে নয়।
-
তওবা ও ইসতেগফার: নিজের পাপের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করতে পারেন।
-
দোয়া: এই রাত দোয়ার জন্য বরকতময় হতে পারে। নিজের এবং উম্মতের জন্য কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা উচিত।
-
সাদকা বা দান-খয়রাত: এই রাতে দান করা একটি মহৎ আমল হতে পারে।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন:
-
শবে মেরাজ উপলক্ষে নির্ধারিত কোনো ইবাদত নেই। এই রাতে বিশেষ নফল নামাজ বা রোজা রাখার প্রচলন ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
-
নবীজি এবং সাহাবিদের আমল অনুসারে শবে মেরাজে অতিরিক্ত কোনো আয়োজন থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
মুসলিমরা এই রাতকে একটি বরকতময় রাত হিসেবে ব্যক্তিগত ইবাদতের মাধ্যমে কাটাতে পারেন। তবে শবে মেরাজকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো ইবাদত বা প্রচলন শুরু করা থেকে বিরত থাকা উচিত। ইসলাম ব্যক্তিগত ও আন্তরিক ইবাদতকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
তাবিব