ছবি: সংগৃহীত
শয়তান মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। কোরআন ও হাদিসে শয়তানের ধোঁকা থেকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিয়ে মন্দ কাজে প্রলুব্ধ করে এবং ক্রমে আল্লাহর নাফরমানির দিকে নিয়ে যায়। এভাবে মানুষ কুফর ও শিরকে লিপ্ত হয়ে চিরদুঃখের জায়গা জাহান্নামে পৌঁছায়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।’ (সূরা নুর, আয়াত : ২১)
শয়তানের ধোঁকা থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দোয়া করা উচিত। হাদিসে বর্ণিত এমন কিছু দোয়া রয়েছে, যা পাঠ করলে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকা যায়। হাদিসে বর্ণিত এমন একটি দোয়া হলো—
لَا ۤاِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু, লাহুল-মুলকু, ওয়ালাহুল-হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। সমস্ত প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনি সবকিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।
হাদিসে বলা হয়েছে, নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করলে এর জন্য একজন গোলাম মুক্ত করার সওয়াব হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে, এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এটি সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। সন্ধ্যায় পড়লে এটি পরদিন সকাল পর্যন্ত একই সওয়াব প্রদান করবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭)
আরেকটি দোয়া হলো—
أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: আউজুবিল্লাহিল আজিম, ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম, ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।
অর্থ: আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনন্ত-কালীন কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।
তাবিব