ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীতে ৪৩০০টির বেশি ধর্ম রয়েছে। বিশজুড়ে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন খ্রিস্টান, ২ বিলিয়ন মুসলিম, ১.১ বিলিয়ন হিন্দু, ৫০০ মিলিয়ন বৌদ্ধ এবং ১৫ মিলিয়ন ইহুদি রয়েছে। এত ধর্মের মধ্যে কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, ইসলামকে কেন বেছে নেওয়া উচিত?
ইসলাম সত্য ধর্ম কিনা, তা যুক্তি দিয়ে বোঝা সম্ভব। দার্শনিক দেকার্থের সংশয়বাদ কৌশল অনুসরণ করে এটি ব্যাখ্যা করা যায়। তিনি বলেন, সত্য খুঁজতে প্রথমে ভুল ধারণাগুলো বাদ দিতে হবে।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা নিয়ে ভাবা যাক। পদার্থবিজ্ঞানের যুক্তি বলে, যেকোনো কাজের পেছনে শক্তি থাকা প্রয়োজন। মহাবিশ্বের সুশৃঙ্খল কার্যক্রম দেখে বোঝা যায়, এর পেছনে একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন।
গাভীর দুধ, মৌমাছির মধু, কিংবা গাছের ফল— সবকিছু এমনভাবে তৈরি যা মানুষের জন্য উপকারী। এটি স্বাভাবিক নয়। যুক্তি বলে, এই সবকিছুর পেছনে একজন সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার হাত রয়েছে।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করার পর প্রশ্ন ওঠে, তিনি আমাদের জন্য কোনো দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কিনা। প্রতিটি জিনিসের মতো মানবজীবনেরও একটি নির্দেশিকা থাকা উচিত।
পবিত্র কিতাব এবং নবীর প্রয়োজনীয়তাও এখানে উঠে আসে। বই এবং শিক্ষকের সাহায্য ছাড়া মানুষ পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য নবী পাঠিয়েছেন, যাঁরা আমাদের শেখান কীভাবে তাঁর দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
ইসলাম এই তিনটি শর্ত পূরণ করে। সৃষ্টিকর্তা, পবিত্র কিতাব, এবং নবীর উপস্থিতি ইসলামের মূল ভিত্তি। রাসূল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইসলামের সর্বশেষ নবী। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক ছিল সততার প্রতীক।
২৩ বছরের নবুয়তের জীবনে তাঁর আচার-আচরণ, নীতি এবং ইবাদত মানুষদের কাছে সত্যতার প্রমাণ দিয়েছে। তিনি দুনিয়ার কোনো লাভের জন্য ইসলাম প্রচার করেননি। বরং তিনি মানুষের জন্য আল্লাহর বার্তা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থাৎ, ইসলাম সত্য ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এটি যুক্তি এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে মানুষের জীবনে সঠিক পথ প্রদর্শন করে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/G8sUpM8EH4k?si=_T8WpK6mxnGuNjSB
এম.কে.