ছবিঃ সংগৃহীত
সিরিয়া, যা ইসলামী ঐতিহ্যে শাম নামে পরিচিত, কিয়ামতের আগে বিশেষ স্থান ও ঘটনাবলীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামতের আগে সিরিয়ার মাটিতে কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটবে যা সমগ্র বিশ্বকে নাড়া দেবে।
১. ইমাম মাহদির আগমন: সিরিয়ার দামেস্ক নগরিতে এক রাতে ইমাম মাহদি আত্মপ্রকাশ করবেন, যিনি মানবজাতির ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
২. হজরত ঈসার নেমে আসা: হাদিস অনুযায়ী, হজরত ঈসা (আ.) সিরিয়ার সাদা মিনারে অবতরণ করবেন এবং তিনি দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন।
৩. দাজ্জালের উপস্থিতি: দাজ্জাল সিরিয়ার এলাকাগুলোতে অরাজকতা ছড়াবে এবং তার ভ্রান্ত দর্শন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।
৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগ: কিয়ামতের আগে সিরিয়ায় ভূমিকম্প, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যাবে, যা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে।
৫. বিশাল যুদ্ধ: হাদিসে "মালহামা" নামে একটি বড় যুদ্ধের উল্লেখ রয়েছে, যা সিরিয়া এবং তার আশেপাশের এলাকায় সংঘটিত হবে।
৬. বালুকার মধ্যে নদী: সিরিয়ার মরুভূমিতে অপ্রত্যাশিতভাবে পানি প্রবাহিত হবে, যা এক সময়কার শুষ্ক অঞ্চলে জীবন ফিরিয়ে আনবে।
৭. সিরিয়ার পতন ও পুনর্জাগরণ: শাসনব্যবস্থার পতনের পর একটি ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
৮. বায়তুল মাকদিসের মুক্তি: সিরিয়া থেকে মুসলিম বাহিনী একত্র হয়ে বায়তুল মাকদিস মুক্ত করবে।
৯. ধ্বংসযজ্ঞের শুরু: সিরিয়ার এক অঞ্চল থেকে বড় ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা হবে, যা পুরো দুনিয়ায় প্রভাব ফেলবে।
১০. ইসলামের বিজয়: সবশেষে সিরিয়াকে কেন্দ্র করেই ইসলামের বিজয় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।
এগুলো ইসলামী হাদিস ও ঐতিহ্যে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী, যা কিয়ামতের আগে ঘটবে বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় গবেষকরা এসব বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এগুলো আধ্যাত্মিক এবং প্রতীকী অর্থ বহন করতে পারে।
মারিয়া