ছবি: সংগৃহীত
মহান আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ ও অনুসন্ধান নিঃসন্দেহে একটি ইবাদত। পবিত্র কোরআনে সৃষ্টিজগতের রহস্যময় বিষয়াবলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা আজকের আধুনিক বিজ্ঞানেও বিস্ময় সৃষ্টি করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে মহাকাশ সম্পর্কে কী কী অবাক করা তথ্য রয়েছে।
মহাকাশ কক্ষপথবিশিষ্ট
পবিত্র কোরআনে সূর্য ও চাঁদের নির্ধারিত কক্ষপথে চলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, "সূর্য নির্ধারিত পথে ছুটে চলে এবং চাঁদেরও রয়েছে নির্ধারিত কক্ষপথ।" (সুরা ইয়াসিন: ৩৮-৩৯)
মহাকাশ তারকাবেষ্টিত
কোরআনে উল্লেখ আছে, "আমি দুনিয়ার আকাশ অসংখ্য তারকারাজির দ্বারা সুসজ্জিত করেছি।" (সুরা সাফফাত: ৬) এছাড়া, গ্যালাক্সি সম্পর্কেও বলা হয়েছে, "পবিত্র সেই সত্তা, যিনি মহাকাশে অসংখ্য গ্যালাক্সি স্থাপন করেছেন।" (সুরা ফুরকান: ৬১)
বহুরূপী মহাকাশ
আকাশ বিভিন্ন রঙে ও রূপে আত্মপ্রকাশ করে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "কসম ওই আকাশের, যা বিভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করে।" (সুরা তারিক: ১১)
মহাকাশ সপ্তস্তরে বিন্যস্ত
আধুনিক বিজ্ঞান মহাকাশের সাতটি স্তরের কথা বললেও কোরআনে বহু আগেই তা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, "তিনি সাত আসমান তিবাকা (স্তরে স্তরে) সৃষ্টি করেছেন।" (সুরা মুলক: ৩)
ক্রমবিস্তৃত মহাকাশ
আধুনিক গবেষণায় মহাকাশ ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। কোরআনে বলা হয়েছে, "আমি আসমান সৃষ্টি করেছি এবং আমিই এর বিস্তৃতি ঘটাই।" (সুরা জারিয়াত: ৪৭)
খুঁটিহীন আসমান
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, "সাত আসমান আমি খুঁটিবিহীন ভাসমান অবস্থায় সৃষ্টি করেছি।" (সুরা লুকমান: ১০)। কোরআনে বলা হয়েছে, "যারা অহংকারবশত আমার নিদর্শনাবলি অস্বীকার করে, তাদের জন্য আকাশের দরজা উন্মোচিত হবে না।" (সুরা আরাফ: ৪০)
ধোঁয়াশাঘেরা মহাকাশ
আল্লাহ তাআলা বলেন, "ভূপৃষ্ঠ নির্মাণের পর তিনি আকাশ নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করলেন, আর তখন তা ছিল ধোঁয়াশাঘেরা।" (সুরা ফুসসিলাত: ১১)
মহাবিশ্বের চূড়ান্ত পরিণতি
আল্লাহ বলেন, "সেদিন আমি আকাশমণ্ডলী গুটিয়ে নেব যেমন লিখিত কাগজপত্র গুটিয়ে রাখা হয়।" (সুরা আম্বিয়া: ১০৪)
পবিত্র কোরআনের এসব তথ্য আধুনিক বিজ্ঞানকে বারবার চমকে দিয়েছে। এগুলো প্রমাণ করে, কোরআন শুধুমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থই নয়, বরং বিজ্ঞানেরও অপার উৎস।
তাবিব