ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

বৈধ হলেও যে তিনটি কাজকে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বৈধ হলেও যে তিনটি কাজকে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম

ছবি: সংগৃহিত।

ইসলামের প্রতিটি নির্দেশন মানবজীবনের কল্যাণেই প্রবর্তিত। তবে কিছু কাজ পরিস্থিতি বিবেচনায় বৈধ হলেও তা থেকে দূরে থাকতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন নবীজী (স.)। ইসলামে এই নিন্দনীয় কাজগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের পথ দেখানো হয়েছে।

১. ভিক্ষাবৃত্তি

ইসলামে নিঃস্ব, গরিব এবং অভাবগ্রস্তদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি জায়েজ হলেও এটি প্রবলভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘কষ্ট করে পিঠে বোঝা বহন করে জীবনযাপন করা ভিক্ষাবৃত্তি থেকে উত্তম।’ (বুখারি: ১৪৭১)। তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই ওপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম।’ (বুখারি: ১৪২৭)।
তিন ধরনের লোক ছাড়া অন্য কারও জন্য ভিক্ষাবৃত্তি বৈধ নয়: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি, এবং দুর্ভিক্ষ কবলিত ব্যক্তি। যেসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করে, তাদের জন্য কেয়ামতের দিনে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি রয়েছে।

২. ঋণগ্রহণ

প্রয়োজনবোধে ঋণগ্রহণ বৈধ হলেও ইসলাম এটিকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি: ১৫৭২)। ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর আগে পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। এমনকি শহিদ ব্যক্তিও ঋণের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।

৩. বিবাহবিচ্ছেদ

ইসলামে বিবাহবিচ্ছেদ বৈধ হলেও এটি সর্বাধিক ঘৃণিত কাজ হিসেবে বিবেচিত। নবীজী (স.) বলেন, ‘তালাক হলো হালাল জিনিসের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২০১৮)। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে তা সমাধানের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। তালাকের মাধ্যমে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে ওঠে বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখিত কাজগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে একজন মুসলিম সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। নবীজী (স.) যেসব কাজে নিরুৎসাহিত করেছেন, সেগুলো থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত অর্জন সম্ভব।

সায়মা ইসলাম

×