ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

জমজমের পানির যত গুণাগুণ

প্রকাশিত: ০২:০৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

জমজমের পানির যত গুণাগুণ

ছবি: সংগৃহীত

জমজমের পানি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া এক বরকতময় নেয়ামত। হজ ও ওমরার সময় এটি পান করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মুসলিমদের বিশ্বাস, জমজমের পানি শুধুমাত্র পবিত্র ও পানীয়ই নয়, বরং এতে রয়েছে অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও শারীরিক উপকারিতা।

 

হাদিসে জমজমের পানির বিশেষ গুণাগুণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার পাওয়ার আশায় পান করা হবে; তা অর্জিত হবে বা সে উপকার পাওয়া যাবে। (ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) জমজমের পানি পানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব উল্লেখ করেছেন:

  •  কেবলামুখী হয়ে পান করা।  
  • আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করা।  
  • তিনবার বিরতি দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে পান করা।  
  • তৃপ্তি সহকারে পান করা।  
  • পান শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা।  

 

জমজমের পানির উপকারিতা

নিয়ত অনুযায়ী উপকারিতা  
জমজমের পানি যেকোনো ভালো উদ্দেশ্যে পান করলে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। রোগমুক্তি, উপকারী জ্ঞান ও প্রশস্ত রিজিকের জন্য পান করা উত্তম।

আধ্যাত্মিক শক্তি  
জমজমের পানি ঈমানদারদের জন্য আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায়। এটি পান করলে আত্মিক প্রশান্তি ও মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়।

শারীরিক সুস্থতা  
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখিয়েছেন, জমজমের পানিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা দেহকে সতেজ ও রোগমুক্ত রাখে।

রোগমুক্তির দোয়া  
জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া পড়া উত্তম:  
**اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ**  
**উচ্চারণ:** আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দায়িন।  
**অর্থ:** হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিজিক এবং সব রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি। (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম)


 

তাবিব

×