ছবি: সংগৃহীত
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদাত করবে।” (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
রাতের বেলায় কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা আমাদের জীবনে শান্তি ও বরকত নিয়ে আসে। হাদিসে রাতের আমল সম্পর্কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঘুমানোর আগে করণীয় কিছু আমল:
অজু করা: অজু করে ঘুমানো পাপ মোচনের উপায়।
আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারা শেষ দুই আয়াত পাঠ: এগুলো পড়লে শয়তান নিকটে আসতে পারে না।
সুরা মুলক ও ইসতেগফার: মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবরের আযাব থেকে রক্ষা পেতে সুরা মুলক পড়া গুরুত্বপূর্ণ।
তিন কুল পাঠ: সুরা নাস, ফালাক ও ইখলাস পাঠ করলে সব ধরনের বিপদ থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যায়।
সুরা কাফিরুন ও সুরা ফাতিহা: অন্তরে শান্তি আনয়ন ও পাপ মুক্তির জন্য।
তিন তাসবিহ পাঠ: ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৪ বার পাঠ করা।
ঘুমানোর আগে দোয়া ও ডান কাতে শোয়া: নবীজির (সা.) অভ্যাস ছিল ঘুমানোর আগে দোয়া পাঠ ও ডান কাতে শোয়া।
শেষ রাতের বিশেষ আমল: নবীজি (সা.) শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ, জিকির ও দোয়া করতেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রাতের আমলের ওপর উৎসাহিত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ প্রবৃত্তি দমনে অধিক সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।” (সুরা মুজ্জাম্মিল: ৬)
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আমাদের রব প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দেব; কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।” (বুখারি: ১১৪৫)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর চরিত্র ছিল কোরআন। তিনি রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং উম্মতের জন্য দোয়া করতেন। রাতের এই আমলগুলো আমাদের পাপ মোচন, রূহানিয়াত বৃদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ খুলে দেয়।
তাবিব