ছবি: সংগৃহীত
মৃত্যুর পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় বরজখ বা কবরের জীবন, যা আখিরাতের প্রথম ধাপ। এই সময় থেকেই শুরু হয় ছোট কেয়ামত, যেখানে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরবর্তী গন্তব্যের প্রস্তুতি শুরু হয়।
জান্নাতির কবরের শান্তি
হাদিস অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতবাসী হন, তবে মৃত্যুর পর সকাল ও সন্ধ্যায় তাকে জান্নাতের ঠিকানা দেখানো হয়। তার কবরকে প্রশস্ত করা হয় এবং জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস ও সুগন্ধি প্রবাহিত হয়। তাকে জান্নাতের পোশাক পরানো হয় এবং জান্নাতের দিক থেকে একটি দরজা খুলে দেওয়া হয়, যা দিয়ে জান্নাতের শান্তি ও প্রশান্তি তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে। (সহিহ বুখারি: ৩২৪০)
জাহান্নামির কবরের শাস্তি
অপরদিকে, যারা জাহান্নামের অধিবাসী হবে, তাদের কবর সংকুচিত করে দেওয়া হয়। জাহান্নামের উত্তপ্ত বাতাস তাদের কবর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। তাদের জন্য জাহান্নামের বিছানা ও পোশাক প্রস্তুত করা হয়। এক অন্ধ ও বধির ফেরেশতা তাদের ওপর নিযুক্ত করা হয়, যার হাতে একটি বিশাল লোহার হাতুড়ি থাকে। ফেরেশতা সেই হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে মৃত ব্যক্তি বিকট চিৎকার দেয়, যা মানুষ ও জ্বিন ছাড়া সব সৃষ্টিই শুনতে পায়। (আবু দাউদ: ৪৭৫৩)
কবরের শাস্তি থেকে রক্ষার উপায়
ইসলামের শিক্ষায় বলা হয়েছে, সৎ আমল ও মজবুত ঈমানই কবরের শান্তির কারণ। রাসূল (সা.) কবরের শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমলের পরামর্শ দিয়েছেন। কবরের আজাব থেকে বাঁচতে নিয়মিত ইবাদত, দোয়া এবং কোরআন তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ।
তাবিব