ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

গণহত্যা ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

গণহত্যা ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে সমাজে হত্যা, খুন, ও গুমের মতো ভয়াবহ অপরাধ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলাম ধর্মে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, যা পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মানুষ হত্যাকে সমগ্র মানবজাতির হত্যার সমতুল্য বলেছেন। সূরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন- যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল—কিন্তু সে হত্যার কারণ ফিতনা সৃষ্টি বা হত্যার প্রতিশোধ নয়—সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে একজনের প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। (সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩২)

এ আয়াত স্পষ্টভাবে বোঝায়, একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা পুরো মানবজাতিকে হত্যা করার মতোই ভয়াবহ অপরাধ।

 

হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে হত্যা ও রক্তপাত বেড়ে যাবে। হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে 'হারজ' হবে। সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হারজ’ কী? তিনি বললেন, ব্যাপক গণহত্যা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৯৫৯)

রাসূল (সা.) আরও বলেন, তখন মানুষ এমনভাবে একে অপরকে হত্যা করবে যে, হত্যাকারী জানবে না কেন হত্যা করছে এবং নিহত ব্যক্তিও জানবে না কেন তাকে হত্যা করা হলো। এটি হবে মানুষের বিবেক-বুদ্ধির লোপ এবং অজ্ঞতার চরম বহিঃপ্রকাশ।

 

বর্তমান সমাজে হত্যা ও সহিংসতার এই প্রবণতা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়েরই প্রতিফলন। হিংসা, প্রতিশোধ, ক্ষমতার লালসা ও সামাজিক বৈষম্য এই সহিংসতার পেছনে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। তাই সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার মাধ্যমে এই সহিংসতা প্রতিরোধ করা জরুরি।ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিয়ে, পরিবার ও সমাজে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়ে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাজ থেকে হত্যার মতো অপরাধ দূর করা সম্ভব।

 

তাবিব

×