ছবি: প্রতীকী
বিশ্বমানবতার জন্য এক মহান বার্তা নিয়ে ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে তিনজন বিশিষ্ট নেতা পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করবেন।
এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী পাণ্ডুলিপিতে বর্ণনা রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের আলাদা ভূমিকা থাকবে এবং তাদের আবির্ভাব ইমাম মাহদীর আগমনের একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করবে।
ইমাম মাহমুদ:
হযরত ফিরোজ তাইলা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে ইমাম মাহমুদ নামে একজন নেতা আত্মপ্রকাশ করবেন।
তিনি এক মহাযুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন, যা আধুনিক সভ্যতার কাঠামোকে ধ্বংস করে পৃথিবীকে এক প্রাচীন অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে। এই নেতা বেলাল ইবনে রাবাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর বংশধর বলে জানা যায়। তার বিশ্বস্ত সহযোগী সাহেবে কেরাম তাকে সহযোগিতা করবেন।
ইমাম মানসুর:
দ্বিতীয় মহান ব্যক্তি ইমাম মানসুর ইয়েমেন থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন। তার সাথে থাকবেন বিশ্বস্ত সহযোগী হারিস ইবনে হারস। ইমাম মানসুর ইমাম মাহদীর খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য পথ তৈরি করবেন।
হাদিসে বলা হয়েছে, তিনি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরিবারকে আশ্রয় দেবেন এবং তার নেতৃত্বে প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হবে তার আহ্বানে সাড়া দেওয়া।
শোয়েব ইবনে সালেহ:
তৃতীয় ব্যক্তি হবেন শোয়েব ইবনে সালেহ। তিনি খোরাসান থেকে কালো পতাকা বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন। তার সেনাবাহিনী সুফিয়ানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং বাইতুল মাকদাসে পৌঁছে ইমাম মাহদীর খেলাফতের পথ প্রশস্ত করবে। হাদিসে উল্লেখ আছে, তার বাহিনী এতটাই শক্তিশালী হবে যে পাহাড়কেও কাঁপিয়ে দিতে পারবে।
এই তিনজন মহান ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ মানবজাতিকে একটি নতুন দিগন্তের পথে নিয়ে যাবে।
তাদের আগমন ইমাম মাহদীর আগমনের সময়কে অত্যন্ত নিকটবর্তী করে তুলবে। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই বার্তাগুলি আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/UFmpy7BghQ4?si=MrA14fc7yJdGDWwL
এম.কে.