ছবি: সংগৃহীত
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা আজও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রাসঙ্গিক। এসব নিষেধাজ্ঞা মূলত মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত, এবং এগুলোর লক্ষ্য ছিল ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক আচরণ ও সুষ্ঠু সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ব্যবসায়ীদের জন্য নিষেধ করা কাজ-
মিথ্যা বলা এবং প্রতারণা
মহানবী (সা.) ব্যবসায়ীদের মিথ্যা বলার এবং প্রতারণা করার নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, "যে ব্যক্তি ব্যবসা করতে গিয়ে মিথ্যা বলে বা প্রতারণা করে, সে আমাদের দলের সদস্য নয়।" ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা ও বিশ্বাসের গুরুত্ব বিশাল, এবং মিথ্যাচার বা প্রতারণা করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
অবৈধ উপার্জন
মহানবী (সা.) ব্যবসায়ীদের অবৈধ উপার্জন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সুদের লেনদেন, মদের ব্যবসা, এবং অন্য যেকোনো অবৈধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত।
তুলনায় ভুল
মহানবী (সা.) বলেছেন, "তোমরা কখনও মাপজোক নিয়ে ভুল করো না।" অর্থাৎ ব্যবসায়িক লেনদেনে অতিরিক্ত বা কম মাপ না দিতে এবং একে অপরকে প্রতারণার সুযোগ না দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
গুপ্ত শর্তে চুক্তি
ইসলামে ব্যবসায়িক চুক্তিতে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সব শর্ত স্পষ্ট থাকতে হবে, যাতে কোনোরকম সন্দেহ বা ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
মুনাফা বাড়ানোর জন্য অন্যের ক্ষতি করা
মহানবী (সা.) এমন ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা করেছেন যারা অন্যদের ক্ষতির বিনিময়ে নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই ধরনের অশুভ ব্যবসা সমাজে অশান্তি ও অবিচার সৃষ্টি করে।
অহেতুক দাম বাড়ানো
বিশেষ করে জরুরি পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়ানো, এটি মহানবী (সা.) দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহামারি বা সংকটকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফা নিতে কোনোরকম সুযোগ গ্রহণ করা ইসলামে অপরাধ।
মহানবী (সা.) ব্যবসায়ীদের জন্য যে নীতিমালা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক। ব্যবসার নৈতিকতা এবং সততা বজায় রেখে মানবিক মূল্যবোধ অনুসরণ করাই ইসলামিক ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য।
শিলা ইসলাম