সফর মানুষের জীবনে একটি অপরিহার্য অংশ, তবে এটি একধরনের কষ্ট বয়ে আনে। যেকোনো যাত্রার সময় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। নিয়মিত খাওয়াদাওয়া, ঘুম, এমনকি দৈনন্দিন কাজেও অসুবিধা হয়।
বাসায় যেখানে সাহায্য করার লোক থাকে, সফরে সেসব সুযোগের অভাব বোধ হয়। সফরের শেষে অনেকেই শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি অনুভব করেন। এই ক্লান্তি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।
ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যা মানুষের স্বাভাবিক কষ্ট লাঘবের প্রতি অত্যন্ত যত্নবান। সফরের কষ্টের কথা মাথায় রেখে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যা মুসলমানদের জন্য সহজতর করেছে।
১. নামাজের সংক্ষিপ্ততা:
চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো সফরের সময় দুই রাকাতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সফরের সময় মানসিক ও শারীরিক চাপ কমানোর জন্য একটি বিশেষ ছাড়।
২. নামাজ মিলিয়ে পড়ার সুযোগ:
সফরের সময় যোহর ও আসর অথবা মাগরিব ও এশা একসঙ্গে আদায় করা যায়। এই নির্দেশনা মানুষের কাজের চাপ থেকে মুক্তি দিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দেয়।
৩. সুন্নতের বিষয়ে নির্দেশনা:
রাসুল (সা.) সফরের সময় সুন্নত নামাজ আদায় করতেন না। তাই এটি সুন্নত যে সফরে সুন্নত না পড়াই উত্তম। তবে কেউ যদি স্থানীয় ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, তাহলে ইমামের পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক।
সফরের সময় আল্লাহর দেওয়া এই ছাড়গুলো গ্রহণ করা ইসলামী নির্দেশনার অংশ। কারণ, এটি আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বিধান অনুযায়ী সহজীকরণ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা গ্রহণ করাই প্রকৃত আনুগত্য।
এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে সফর আরও সহজ এবং সুন্দর হয়ে ওঠে। মুসলমানদের উচিত এসব ছাড় গ্রহণ করে ইসলামের সহজ-সরল পথে জীবনযাপন করা।
রাজু