শুক্রবার দোয়া কবুল হয় যে সময়ে

সাপ্তাহিক ঈদের দিন শুক্রবার। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম- কে সৃষ্টি করা হয়েছে। আবার এদিনেই কেয়ামত সংগঠিত হবে। মুসলমানদের জন্য এই দিন তাই খুব তাৎপর্যপূর্ণ। জুমার দিন হওয়ায় এদিনের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এসেছে এই দিনের কিছু সময়ে আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন। বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ থাকলেও দুটি সময়ের দোয়া  বিশেষভাবে কবুল হয়। যদিও বিশেষ সময় কোনটি সেটা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে।

সাহাবীরা বিভিন্ন বর্ণনায় বিশেষ দুটি সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সময়গুলো হলো-

   ১.আছরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন। (মুসান্নাফ, হাদিস: ৫৫৮৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যখন আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাশ বা অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস: ১৩৮৯)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, "জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।" (বুখারি, হাদিস: ৬৪০০)

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (যাদুল মাআ’দ: ২/৩৯৪)

ইমাম আহমদ (রহ.)-ও একই কথা বলেছেন। তিরমিজি শরীফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় এর উল্লেখ আছে।

    ২.আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়

অর্থাৎ, ইমাম মিম্বরে উঠা ও নামাজ শেষ হওয়ার মাঝের সময়। 

আবু দারদা ইবনে আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে বলেছেন, ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৯)